বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হানিফ

‘তারেক রহমানের কথায় রাস্তায় নেচে জীবন নষ্ট করবেন না’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমান ক্যান্টনমেন্টে বসে অবৈধভাবে দল করেছিলেন। দলের সৃষ্টি অবৈধ পথে। আপনার দলের নেতারা মিথ্যাচার করে। দেশের লোকজন ও আপনাদের বিভ্রান্ত করে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। লন্ডনে বসে পলাতক দুর্নীতিবাজ তারেক রহমানের কথায় যে অন্যায় করেছিলেন, তার সাজা অনেকেই পাচ্ছেন। দয়া করে আর এ ভুল কইরেন না। পলাতক ফেরারি আসামির কথায় রাস্তায় নেচে নিজের জীবন নষ্ট করার দরকার নেই। অনেক আন্দোলন দেখেছে দেশের মানুষ। এখন বাড়ি গিয়ে বিশ্রাম নেন। যাতে শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়নের পাশে দাঁড়িয়ে সহায়তা করতে পারেন। জনগণের পাশে দাঁড়ান।’

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সাভারের রেডিও কলোনি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি এই কথা বলেন।

হানিফ বলেন, ‘বিএনপি বলেছিল ১০ ডিসেম্বর খালেদা জিয়া জনসভায় হাজির হবেন। একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কীভাবে জনসভায় যাবেন। যিনি শেখ হাসিনার কৃপায় চিকিৎসার জন্য বাড়িতে আছেন। খালেদা জিয়া আজকে যায়নি, এখন তিনি কারাগারেই আছেন। এরই মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়েছে বিএনপি শুধু সন্ত্রাসী দল নয়, তারা মিথ্যাবাদী, ভাওতাবাজির একটি দল।’

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জনসভায় থাকার এই মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মীদের ঢাকায় এনে সন্ত্রাসী ও অরাজকতা করার উদ্দেশ্য ছিল বিএনপির। তবে এই সরকার খালেদা জিয়া বা এরশাদের সরকার না যাকে উচ্ছেদ করা যাবে। এটি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সরকার। এই সরকারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলা যায় না। আওয়ামী লীগ সরকারকে ধাক্কা দিতে এলে তাদেরই কপাল ফাটবে, মাথা ফাটবে, সেটা এখন বিএনপি নেতারা বুঝতে পারছেন।’

বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পদত্যাগ মাঠে হয় না, স্পিকারের কাছে দিতে হয়। এখানেও রাজনৈতিক স্ট্যান্ডবাজি। সাড়ে ৩০০ জনের মধ্যে সাত জনের পদত্যাগে সরকারের কিছু যায় আসে না। গণতান্ত্রিক অধিকার আছে, আপনি পদত্যাগ করতে পারেন। তবে দেশের মানুষকে আহ্বান জানাবো, এসব কর্মকাণ্ডে বিভ্রান্ত না হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকি। আমরা দেশকে উন্নয়নের ধারায় নিয়ে যাই।’

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘কয়েকটা জনসভায় কিছু লোক দেখে তাদের হুঁশ চলে গেছে। কয়েকদিন আগে মাহফিলে কিছু বক্তা লাগামছাড়া কথা বলতেন। একটা ছিল রফিকুল ইসলাম মাদানী। লোকজন দেখে তিনি বললেন, সরকার মানি না, সংবিধান মানি না, প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতি মানি না। এরপর পুলিশ ধরে নিয়ে গেলো। এখন তিনি দেখছেন বিপদ। পুলিশের হাত-পা ধরে বলেন ভুল হয়ে গেছে। বলেন, মাহফিলে লোকজন দেখে জোশে হুঁশ হারিয়ে ফেলেছিলাম। বিএনপি নেতাদের এমন হয়েছিল। বিএনপি নেতাদের আমি বলেছিলাম, জোশে বেহুঁশ হইয়েন না। পরে রফিকুল ইসলাম মাদানীর মতো পুলিশের হাত-পা ধরা লাগবে। এখন তো দেখছেন গত দুদিন ধরে হাত-পা ধরা লাগছে।’