৩ মাস বেতন না পেয়ে সড়কে অবরোধ করা শ্রমিকদের পেটালো পুলিশ

গাজীপুরের মৌচাক এলাকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন নিউ লাইন পোশাক কারখানার পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এ সময় লাঠিচার্জ করে পুলিশ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশের লাঠির আঘাতে কয়েকজন শ্রমিক আহত হন। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় ওই পোশাক কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, স্টাফ পর্যায়ে পাঁচ মাসের এবং শ্রমিকদের গত তিন মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। বারবার বেতনের আশ্বাস দিয়ে কারখানা মালিক বেতন দিচ্ছে না। আশ্বাস দেওয়ার পরও বেতন না দেওয়ায় শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে মহাসড়কে নেমে আন্দোলন শুরু করেন। পুলিশ বিক্ষোভরত শ্রমিকদের লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গের চেষ্টা করলে তারা উত্তেজিত হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় পুলিশ শ্রমিকদের ওপর ওপর লাঠিচার্জ করলে কয়েকজন আহত হন।

স্থানীয়রা জানান, পুলিশের এলোপাতাড়ি লাঠিচার্জে স্থানীয় দোকানদারসহ বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন। এখন সেখানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এসব ঘটনা ভিডিও করতে গেলে পুলিশ স্থানীয় সংবাদ কর্মীদেরও লাঠিপেটা করে। এখন কারখানা ও মহাসড়কে বিপুল পরিমাণ পুলিশ অবস্থান নিয়েছে।

gazipur1

সুইং সেকশনের অপারেটর আলেয়া খাতুন, উসমান গণি ও মনির হোসেন বলেন, আমরা এলাকায় ভাড়া থেকে ওই কারখানায় চাকরি করি। তিন মাস ধরে বেতন না পাওয়ায় ঘর ভাড়া বাকি রয়েছে। জিনিসপত্রের অনেক দাম। তাই নিয়মিত বাজার না করতে পেরে পরিবার নিয়ে কষ্টে আছি। তিন মাসের বেতন বকেয়া থাকায় আমরা আমাদের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি করেছি। পুলিশ আমাদের সহযোগিতা না করে উল্টো আমাদেরকেই পিটিয়েছে। আমাদের অনেক শ্রমিক আহত হয়েছেন। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছি। পুলিশ নিরীহ শ্রমিকদের এভাবে মারলো।

কালিয়াকৈরের মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শহিদুর রহমান জানান, শ্রমিকরা মহাসড়ক ছেড়ে কারখানার সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিয়েছেন। ঘটনাস্থলে শিল্প পুলিশ ও থানা পুলিশ রয়েছে।

গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর ইন্সপেক্টর (কালিয়াকৈর) নিতাই চন্দ্র সরকার বলেন, দুই মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা আন্দোলন করেছে। কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। হেড অফিস থেকে কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আসতেছে। তারা এলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানা যাবে।