পদ্মা সেতুর টোলপ্লাজায় যানবাহনের জট

টানা তিন দিনের সরকারি ছুটি পড়ায় রাজধানী ছাড়ছেন অনেকেই। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে (ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে) যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এ কারণে পদ্মা সেতুর উত্তর প্রান্তে মাওয়া টোল প্লাজাতেও যানবাহনের চাপ লক্ষ্য করা গেছে।

এদিকে, শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পদ্মা সেতুর ৩৩ নাম্বার পিলারের কাছে একটি মাইক্রোবাস বিকল হলে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হয়। পরে সাড়ে ১১টার দিকে রেকার দিয়ে সেটি সরিয়ে নেওয়া হয়। এতে সেতুতে যানবাহনে চাপ বেড়ে যায়। প্রায় ঘণ্টাখানের সেতুতে গাড়ির জট দেখা গেছে।

সকাল থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসেওয়ের মাওয়া প্রান্তের পদ্মা সেতু টোল প্লাজায় যানবাহনের চাপ দেখা দেয়। একসঙ্গে অনেক গাড়ির চাপের কারণে টোল প্লাজা থেকে শ্রীনগরের দোগাছি পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকায় গাড়ি ধীরগতিতে চলছে।

তবে গাড়ির ধীরগতি থাকলেও ধরন অনুযায়ী টোল আদায়ের লাইন নির্দিষ্ট থাকায় অল্প সময় অপেক্ষা করে সেতু পার হতে পারছে যানবাহন।

মুন্সীগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের টিআই বজলুল হক জানান, শুক্রবার সকালে পদ্মা সেতুতে একটি মাইক্রোবাস সেতুর ৩৩ নং পিলারে বিকল হয়। পরে সাড়ে ১১ টার দিকে ক্রেন দিয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়। গাড়ি বিকল হওয়ায় সেতুতে যানবাহনে চাপ ছিল। পরে তা স্বাভাবিক হয়েছে।

পদ্মা সেতু উত্তর থানার পরিদর্শক (ওসি) আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের কারণে মহাসড়কে কিছুটা ধীরগতি রয়েছে। টানা তিন দিন ছুটির কারণে দক্ষিণাঞ্চলে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। ধীরগতি থাকলেও কোন বিড়ম্বনা নেই বলে দাবি ওসির।

পদ্মা সেতুর অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী জানান, সকালে সেতুর মাঝখানে একটি গাড়ি বিকল হয়ে যাওয়ার কারণে এই জটের সৃষ্টি হয়েছে। গাড়িটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখন যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সেতুতে কিছুক্ষণ গাড়ির চাপ ছিল, এখন সেটি নেই। 

তিনি আরও জানান, এই কারণে টোল আদায়ে কিছুটা ধীরগতি ছিল। একদিকে গাড়ি বিকল অন্যদিকে প্রজেক্টের কাজ চলছিল, তাই কিছুটা সময় ধীরগতিতে টোল আদায় হয়েছে।