টাঙ্গাইলে যুবদল নেতা হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে নির্বাচনী সহিংসতায় যুবদল নেতা হত্যা মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান হেকমত সিকদারকে গ্রেফতার করেছে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)।

রবিবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদীঘি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা হেকমত সিকদারকে টাঙ্গাইল নতুন বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে চেয়ারম্যান হেকমত সিকদারের শাস্তির দাবিতে ঘাটাইলের সাঘরদীঘি বাজার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী।

টাঙ্গাইল আদালত পরিদর্শক তানভীর আহমেদ জানান, রবিবার দুপুরে শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে হেকমত সিকদারকে সিআইডি গ্রেফতার করে। পরে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন চেয়ে হেকমত সিকদারকে আদালতে পাঠায়। বিচারক সোমবার রিমান্ডের শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ ঘাটাইলের সাগরদীঘি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাত ৩টার দিকে গুলিতে গুপ্তবৃন্দাবন গ্রামের বাসিন্দা নেছার উদ্দিনের ছেলে যুবদল নেতা আব্দুল মালেক (৪৫) নিহত হন। পরদিন ২৯ মার্চ গুপ্তবৃন্দাবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।

স্থানীয়রা জানান, সাগরদিঘী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হেকমত সিকদারের লোকজন ব্যালট পেপারে ছিল মারছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুল্লাহ বাহারের সমর্থকসহ এলাকাবাসী সেখানে হামলা চালায়। এ সময় স্কুল ঘরের ভেতর থেকে হামলাকারীদের প্রতি কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও গুলি চালায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আব্দুল মালেক নিহত হন।

পরে ২ এপ্রিল আব্দুল মালেকের স্ত্রী মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে ঘাটাইল থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি একাধিক তদন্তকারী সংস্থা তদন্তের পর সিআইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

টাঙ্গাইল সিআইডির পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান আকন্দ জানান, সরেজমিনে ঘটনার পূর্বাপর তদন্ত শেষে রবিবার দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে হেকমত সিকদারকে গ্রেফতার করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।