তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় নষ্ট হচ্ছে বোরো বীজতলা

রাজবাড়ীতে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় বোরো ধানের বীজতলার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে বোরো আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

রাজবাড়ীর পাঁচটি উপজেলার মধ্যে সদর, পাংশা, গোয়ালন্দ, বালিয়াকান্দি ও কালুখালীতে বোরো ধানের আবাদের লক্ষ্যে ৫৩১ হেক্টর বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু একটানা ১৮ দিন ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতায় এসব বীজতলার অধিকাংশই নষ্ট হয়েছে। সবুজ বীজতলা এখন ফ্যাকাশে, লালচে ও পচে নষ্ট হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। কোনও কোনও স্থানে ধানের বীজ অঙ্কুরিত হওয়ার আগেই কুয়াশা ও শীতে পচে গেছে।

অতিরিক্ত কুয়াশায় পলিথিনের ব্যবহার ও সেচ দিয়েও রক্ষা করা যায়নি বীজতলাগুলো। বেশি দামে ধানের চারা কিনে ধান রোপণ করা ছাড়া কোনও উপায় দেখছেন না কৃষকরা। এখন আর বোরো আবাদ করার বীজতলা তৈরির সময় হাতে নেই। এ কারণে বোরো ধান আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে। লোকসানের কারণে সরকারি সহযোগিতার আশা করছেন কৃষকরা। 

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাজবাড়ীতে এ বছর বীজতলা তৈরীর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৬ হেক্টর বেশি বীজতলা তৈরি হয়েছে। যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৭৫ হেক্টর, সেখানে আবাদ বেড়ে ৫৩১ হেক্টর আবাদ হয়েছে।

তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় বোরো ধানের বীজতলার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের তোরাপ শেখের পাড়া এলাকার কৃষক হুমায়ুন আহম্মেদ বলেন, ‘ঘন কুয়াশা ও শীতের কারণে বেশিরভাগ বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। এখন আর সময় নেই আবার বীজতলা তৈরি করে ধান আবাদ করার। এখন বেশি দামে চারা কিনে ধান আবাদ করা ছাড়া কোনও পথ নেই।’

হুমায়ুনের মতো কোবাদ, কাশেম, হোসেন, নেয়ামতসহ আরও অনেক কৃষক বোরো বীজতলা চাষ করে লোকাসানের মুখে পড়েছেন। তারা এখন কৃষি অফিসের সহযোগিতা কামনা করছেন।

রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক এস এম সহীদ নুর আকবর বলেন, ‘বোরোর বীজতলায় শীত ও কুয়াশায় ক্ষতির সম্মুখীন হলে সেচ দিয়ে সারাদিন ভিজিয়ে রেখে সন্ধ্যায় পানি ছেড়ে দিতে হবে এবং শুকনো স্থানে বীজতলা করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এতে কৃষকরা বীজতলার ক্ষতির মুখে পাড়বে না।’