রাত ১২টার পর আব্দুল্লাহপুর থেকে টঙ্গীর দিকে গাড়ি চলবে না

বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতের জন্য আজ রাত ১২টার পর রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর থেকে ভোগড়া বাইপাস ও কামারপাড়া পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার মোল্ল্যা নজরুল ইসলাম।

তিনি বলেছেন,‌ ‘ট্রাফিক বিভাগকে ঢেলে সাজিয়েছি। যেহেতু দূর-দূরান্ত থেকে মোনাজাতে অংশগ্রহণের জন্য মুসল্লিরা আসবেন, সেহেতু আমরা রবিবার (১৪ জানুয়ারি) রাত ১২টার পর থেকে কয়েকটি সড়ক বন্ধ রাখবো।’

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় ইজতেমা ময়দানের কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুমে (শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়াম) সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন: ইজতেমার দ্বিতীয় দিনে ইবাদত-বয়ানে মশগুল মুসল্লিরা

জিএমপি কমিশনার জানান, কামারপাড়া, টঙ্গী থেকে ভোগড়া বাইপাস, আশুলিয়া অর্থাৎ অব্দুল্লাহপুর ব্রিজ থেকে বাইপালের রোড বন্ধ থাকবে। সেক্ষেত্রে ভোগড়া থেকে তিনশ’ ফিট পর্যন্ত বাইপাস হয়ে চলে যাবে ঢাকাগামী লোকজন। যেসব মুসল্লি বা লোকজন ময়মনসিংহ বা গাজীপুর যাবেন, তারা বাইপাল থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা হয়ে ময়মনসিংহের দিকে চলে যাবেন।

GMP Map

মোল্ল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ইজতেমা মাঠে যারা শুরা সদস্য আছেন, তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। চেষ্টা করছি যেন রবিবার বেলা ১১টার মধ্যে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়। সবাই যাতে সুন্দর এবং সুষ্ঠুভাবে ইজতেমা সম্পন্ন করতে পারেন, সেই লক্ষ্যে জিএমপিসহ পুলিশের অন্যান্য ইউনিট একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।’

এ সময় ট্যুরিস্ট পুলিশের উপ-মহা পুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ ইলিয়াস শরীফ, অতিরিক্ত মহা-পুলিশ পরিদর্শক (এডিশনাল ডিআইজি) আবু সুফিয়ান, জিএমপির উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) আলমগীর হোসেন, অপরাধ বিভাগের উপ-কমিশনার (উত্তর) আবু তোরাব মো. শামসুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিন শনিবারও (১৪ জানুয়ারি) গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে মুসল্লিদের ঢল অব্যাহত রয়েছে। আজ বাদ ফজর থেকে ইজতেমা মাঠে আখলাক, ঈমান ও কোরআন-হাদিসের আলোকে বয়ান চলছে। দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা আলেমরা বিভিন্ন বিষয়ে বয়ান করছেন। ইবাদত-বয়ানে মশগুল হয়ে রয়েছেন মুসল্লিরা।

আগামীকাল রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। বরাবরের মতো এবারও সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছ। আখেরি মোনাজাতের আগে হেদায়েতি বয়ানের পর বিশ্ব তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা জুবায়ের আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।