আ.লীগের দুই নেতাসহ একে একে ৫ জনের মৃত্যু, পাকস্থলীতে মদের অস্তিত্ব

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে উপজেলা আওয়ামী লীগের দুজন সাংগঠনিক সম্পাদকসহ পাঁচ জনের মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিয়ে রহস্য তৈরি হয়। কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট টিম গঠন করা হয়।

কিশোরগঞ্জের ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ময়নাতদন্ত করার সময় তাদের প্রত্যেকের পাকস্থলীতে প্রচুর অ্যালকোহলের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। চিকিৎসকদের ধারণা, মদ্যপানের পর বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে।

জানা গেছে, শনিবার কুলিয়ারচর সদরে তারা এক বন্ধুর বাড়িতে রাতের বেলায় আড্ডায় মিলিত হন। সেখানে থেকে ফেরার পর সবাই অসুস্থবোধ করলে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেই রাতেই একজনের মৃত্যু হয়। তারপর থেকে গতরাত পর্যন্ত কুলিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই সাংগঠনিক সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দিন ও জহির রায়হানসহ মোট পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। অপর তিন জন হলেন- একই উপজেলার গোবিন্দ বিশ্বাস, শাহজাহান ও লিটন মিয়া।

একই ঘটনায় কুলিয়ারচর পৌরসভার প্যানেল মেয়র হাবিবুর রহমানকে ঢাকার একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, পাঁচ জনের মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম গঠন করেছি। মৃতদের পাকস্থলীতে প্রচুর অ্যালকোহলের গন্ধ পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত মদপানে বা বিষাক্ত মদপানে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা মনে করছি।