বিদেশ থেকে ফিরে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড 

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়াও তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়ে হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি দেলোয়ার হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি দেলোয়ার হোসেন (৩৮) করিমগঞ্জ উপজেলার কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নের উত্তর চাঁনপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত ইমাম উদ্দিনের ছেলে। ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি এম এ আফজল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহারের সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১৮ সালে দেলোয়ারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ইটনা উপজেলার লাইমপাশা গ্রামের আহসান মোস্তফার মেয়ে প্রজ্ঞা মোস্তফার। বিয়ের তিন মাস পর বিদেশ চলে যান দেলোয়ার। এরপর সেখানে দুই মাস থেকে খালি হাতে দেশে ফেরেন। তখন থেকে বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য চাপ দিতেন স্ত্রীকে। কিন্তু বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক এনে দিতে পারবে না বলে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি। এ নিয়ে প্রায়ই তাকে নির্যাতন করা হতো।

২০১৯ সালের ২১ মার্চ সকালে আবারও যৌতুকের দাবিতে চাপ দিলে এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ছুরি দিয়ে গলা কেটে পালিয়ে যায় দেলোয়ার। হত্যাকাণ্ডের সময় তার তিন মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান ছিল। ঘটনার দিন বিকালেই নিহতের বাবা আহসান মোস্তফা বাদী হয়ে দেলোয়ারকে একমাত্র আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সেই রাতেই আসামিকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। পরে জামিনে মুক্ত হয়ে পালিয়ে যান। করিমগঞ্জ থানার তৎকালীন এসআই আবদুল্লাহ আল মাসুদ মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছেন।

মামলার বাদী আহসান মোস্তফা জানান, এ রায়ে তিনি সন্তুষ্ট। রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানান।