স্বামীকে মোটরসাইকেল কিনতে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ

মোটরসাইকেল কিনতে বাধা দেওয়ায় ফরিদপুরের ভাঙ্গায় স্ত্রীকে নির্যাতন ও শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে, সোমবার রাতে (৩০ জানুয়ারি) পৌর সদরের চন্ডীদাসদী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম শিমলা বেগম (২২)। তিনি ভাঙ্গা উপজেলার হামেরদী ইউনিয়নের বড় হামিরদী গ্রামের আনোয়ার মাতবরের মেয়ে। তার স্বামী শাহিন মোল্লার বাড়ি ভাঙ্গা পৌর সদরের চন্ডীদাসদি গ্রামে।  

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে শাহিনের বাড়িতে চিল্লাচিল্লির শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা শিমলাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে এবং তার শরীরে, গলায় বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় বলে জানান। স্ত্রীর মারা গেছে শুনে লাশ ফেলে স্বামী শাহিন ও তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যান। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লাশ উদ্ধার করে।

ভাঙ্গা থানার এসআই সিরাজুল ইসলাম বলেন, রাত দেড়টার দিকে খবর পেয়ে শিমলার লাশ উদ্ধার করি। মঙ্গলবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট পেয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিহতের খালা ফাহিমা বেগম জানান, শিমলার মা (বিউটি বেগম) সংসার ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ওদেরকে আমার কাছে রেখে সৌদি আরব চলে যান। আমি তাদের লালনপালন করে দুই বছর আগে শিমলাকে শাহিনের সঙ্গে বিয়ে দেই। তাদের সংসারে এক বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।

তিনি আরও জানান, মাঝেমধ্যে শিমলার মা সৌদি থেকে মেয়ের স্বামীর কাছে টাকা পাঠাতো। ওই টাকা দিয়ে শাহীন মোটরসাইকেল কিনতে চায়। এতে শিমলা বাধা দিলে তাকে মারধর করে। এ ঘটনার জেরে সোমবার রাতে শাহীন ও তার পরিবারের লোকজন মিলে তাকে মেরে ফেলেছে।