বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রেখেও বাঁচানো যায়নি বাঘটিকে

গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে দেড় মাস ধরে অসুস্থ বাঘটি বুধবার (১৫ মার্চ) সকালে মারা গেছে। বাঘটির বয়স হয়েছিল ১৪ বছর। এ বিষয়ে শ্রীপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। পার্কের প্রকল্প পরিচালক ইমরান আহমেদ বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, অসুস্থ বাঘটিকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে নমুনা সংগ্রহের পর পরীক্ষা করে গুরুত্ব দিয়ে এর চিকিৎসাও করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাঘটির স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা দিলেও শেষ পর্যন্ত বাঘটি বাঁচানো যায়নি।

সাফারি পার্কের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক আনিসুর রহমান জানান, ২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কয়েকটি বাঘ আনা হয় এই পার্কে। তাদের মধ্যে একটি স্ত্রী বাঘ দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বাঘটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে যায়। এরপর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে বাঘটির চিকিৎসা করা হচ্ছিল। পরে অল্প পরিমাণে খাবার খাওয়া শুরু করে। তবে ৭ মার্চ থেকে আবারও খাওয়া বন্ধ করে দেয়। বুধবার সকালে খুব দুর্বল হয়ে পড়লে বাঘটির মৃত্যু হয়।

তিনি আরও বলেন, পরে বাঘের ময়নাতদন্ত শেষে শরীরের বিভিন্ন অংশের নমুনা দেশের কয়েকটি পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। বাঘটিকে পার্কের ভেতরে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন বাঘটি লিভার, যক্ষ্মা ও ট্রিপোনোসোমিয়াসিস রোগে আক্রান্ত ছিল। বর্তমানে পার্কে বিরল প্রজাতির একটি সাদা বেঙ্গল টাইগারসহ মোট ৯টি বাঘ রয়েছে। এরমধ্যে ছয়টি স্ত্রী ও তিনটি পুরুষ।

শ্রীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে বাঘের মৃত্যুর বিষয়ে পার্ক কর্তৃপক্ষ সন্ধ্যায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে।