মানিকগঞ্জে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা, প্রথমদিন চিকিৎসা নিলেন ৭ রোগী

সারাদেশের মতো মানিকগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বিকালে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগে সেবা কার্যক্রম চালু হয়। 

হাসপাতাল সূত্র জানায়, মানিকগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের নতুন ভবনের দোতলায় খোলা হয়েছে বৈকালিক চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র। প্রথমদিন চিকিৎসা নিয়েছেন সাত রোগী। এর মধ্যে শিশু রোগী ছিল দুজন, মেডিসিন বিভাগে তিন, সার্জারি বিভাগে একজন ও গাইনি বিভাগের একজন। পাঁচ চিকিৎসক সেবা কার্যক্রমে অংশ নেন।

চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রে প্রথম রোগী ছিল শহরের স্কুলশিক্ষার্থী ওয়াজিব ওহি (৭)। ঠান্ডা, জ্বর ও গলাব্যথায় আক্রান্ত শিশুটিকে চিকিৎসা দেন শিশু বিভাগের চিকিৎসক নিলুফা পারভীন।

ওয়াজিব ওহির বাবা রাহাজ উদ্দিন বলেন, ‘গণমাধ্যমে খবর দেখে ছেলেকে নিয়ে চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রে আসি। প্রচার-প্রচারণা না থাকায় প্রথমদিন রোগী কম ছিল।’

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক চিকিৎসক বাহাউদ্দিন বলেন, ‘প্রথমদিন পাঁচ চিকিৎসক বহির্বিভাগে বৈকালিক চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন।’

বিকাল ৩টার দিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ভার্চুয়ালি স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় মানিকগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোজাজ্জেম হোসেন মিয়া, পৌরসভার মেয়র মো. রমজান আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোমিন ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবুবকর সিদ্দিক তুষার প্রমুখ।

সেবা নিতে আসা রাহাজ উদ্দিন বলেন, ‘এই চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চালু থাকলে আমার মতো অনেকে সেবা নিতে আসবেন। শুধু রোগী দেখলেই হবে না, পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা রাখতে হবে। তাহলে সেবা নিতে আগ্রহী হবেন রোগীরা।’

সেবাদানকারী সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. জাহাঙ্গীর মো. সারোয়ার বলেন, ‘এই কার্যক্রম চালাতে হলে হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্স বাড়াতে হবে। সীমিত জনবল দিয়ে এই সেবা অব্যাহত রাখা কষ্টকর হবে।’ 

তিনি বলেন, ‘২৫০ শয্যার হাসপাতাল হলেও ১০০ শয্যার জনবল দিয়ে চলছে হাসপাতাল। তার ওপর নতুন এই সেবা। তাই জনবল বাড়ানোর অনুরোধ করছি। না হয় সেবা কার্যক্রমে সফলতা আসবে না। 

সফলতা না আসার কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, ‘রোগী এলো, আমরা দেখলাম। কিন্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে না পারলে সেবা বিঘ্নিত হবে।’ 

জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বাহাউদ্দিন বলেন, ‘ জনবল বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’