ফ্রিল্যান্সিংয়ের আড়ালে পর্নোগ্রাফি তৈরি করতো তারা

টাঙ্গাইলের মধুপুরে বাসা ভাড়া নিয়ে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে অর্থ আয়ের নামে পর্নোগ্রাফি তৈরি ও মাদক ব্যবসার দায়ে চার যুবককে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৪ মে) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামীমা ইয়াসমীন এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকির হোসাইন পৃথক দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এ দণ্ডাদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো মধুপুর পৌরসভার কাইতকাই এলাকার শাহজাহান আলীর ছেলে সালমান খান (২২), উপজেলা সদরের ঝন্টু পালের ছেলে অন্তর পাল (২১), মেহেদী হাসান ফাহিম (২৩) এবং ধনবাড়ী উপজেলার নরিল্যা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে আশিকুর রহমান (২১)।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, মধুপুর পৌরসভার নয়াপাড়া মসজিদ সংলগ্ন একটি বাসা ভাড়া নিয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে অর্থ আয়ের নামে পর্নোগ্রাফি তৈরি ও মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল তারা। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমীন ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকির হোসাইনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে চার জনকে আটক করা হয়। এ সময় পর্নোগ্রাফি তৈরির কাজে ব্যবহৃত ছয়টি ল্যাপটপ, একটি কম্পিউটার এবং ১০টি মোবাইল জব্দ করা হয়। সেইসঙ্গে মাদক উদ্ধার করা হয়। 

পরে বাড়ির মালিকের উপস্থিতিতে বাসাটি গিলগালা করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। এরপর পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে মাদক ব্যবসা ও পর্নোগ্রাফি তৈরির অপরাধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমীন অভিযুক্ত সালমান খান এবং অন্তর পালকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। সেইসঙ্গে ছয় মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন। 

অপরদিকে, একই অপরাধে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকির হোসাইন অভিযুক্ত মেহেদী হাসান ও আশিকুর রহমানকে ৪৯ হাজার টাকা জরিমানা এবং ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

শামীমা ইয়াসমীন বলেন, ‘দণ্ডপ্রাপ্তরা বাসা ভাড়া নিয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে অর্থ আয়ের নামে পর্নোগ্রাফি তৈরি ও মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চার জনকে আটক করা হয়। এ সময় পর্নোগ্রাফির কাজে ব্যবহৃত ছয়টি ল্যাপটপ, একটি কম্পিউটার এবং ১০টি মোবাইল জব্দ করা হয়।’