এদিকে, উপজেলার রুশদী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে মঙ্গলবার দুপুরে তার ভাই বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। তবে অভিযোগটি গ্রহণ করলেও কোনও ধরনের শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেনি এমন দাবি করেছেন শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাহিদুর রহমান
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ২১ শে ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার দিকে এক ছাত্রী রুশদী উচ্চ বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে বিবন্দী-তন্তর রাস্তার বাগবাড়ী এলাকায় কিছু যুবক ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেছে এ রকম একটি অভিযোগ পেয়েছি।
এ ব্যাপারে বিচার সালিশ করে সমঝোতা করা কথা ছিল। কিন্তু সমঝোতা না করে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে তদন্ত করে জানতে পারি, রুশদী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে দু’পক্ষের আগে থেকেই বিবাদ ছিল।এটা নিয়ে মামলাও হয়েছিল। আসলে কোনো ধরনের শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেনি। ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে স্কুল থেকে ফেরার পথে কয়েকজন যুবক মেয়েটিকে বলে, দেখ, স্কুল ফাঁকি দিছে। এটা নিয়ে তাদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়। এটাকে ইস্যু করে রবিবার দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এদিকে, সংঘর্ষের পরপরই রাত ১০টার দিকে ওই এলাকার পাঁচলদিয়া, বনগাঁও, বিবন্দী, টুনিয়া, মান্দ্রা গ্রামের মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা দিয়ে ওইসব এলাকার ছাত্রীদের রুসদী উচ্চ বিদ্যালয়ে যেতে নিষেধ করা হয়।
রুশদী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পবিত্র কুমার সরকার বলেন, আমি যা জেনেছি সেখানে কোনওরূপ শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেনি। ছেলেমেয়েদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পত্রপত্রিকায় ঘটনাটা যেভাবে এসেছে সেরকম কিছু ঘটেনি। তবে, তাদের মধ্যে যাই ঘটুক সেটা নিয়ে সমঝোতা করার জন্যে সবাই মিলে বসে মীমাংসার বদলে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনা স্কুলের বাইরে ঘটেছে। কিন্তু, আজ স্কুলে ছাত্রী উপস্থিতি ছিল কম।
তিনি জানান, স্কুলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসেছিলেন। তারা উভয়পক্ষকে বলেছেন, ছেলেমেয়েরা যেন স্কুলে আসতে কোনও বাধার সম্মুখীন না হয় সেভাবে ব্যবস্থা নিতে।
/বিটি/টিএন/আপ-এআর/