পরীক্ষার হলে মোবাইল পাওয়ায় এক কলেজের ২৪ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার

এইচএসসি পরীক্ষার তৃতীয় দিনে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় হলে মোবাইল সঙ্গে রাখায় ও নকল করায় এক কলেজের ২৪ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার এসজে স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে।

মুকসুদপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিত কুমার সাহা এবং এসজে স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের সচিব সরকারি মুকসুদপুর কলেজের অধ্যক্ষ এসএম মনির হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বহিষ্কৃত ২৪ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৩ জন ছাত্র ও একজন ছাত্রী। তারা সরকারি মুকসুদপুর কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত কুমার সাহা বলেন, ‘সরকারি মুকসুদপুর কলেজ থেকে এ বছর দুই হাজার ১০০ পরীক্ষার্থী এইচএসসিতে অংশ নেন। এরমধ্যে এসজে স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ১৭০০ পরীক্ষার্থী ছিলেন। দুপুরে ওই কেন্দ্রে পরিদর্শনে গেলে কয়েকজন পরীক্ষার্থীর কাছে মোবাইল আছে বলে জানতে পারি। পরে কেন্দ্রের ১৭টি হলের সব পরীক্ষার্থীকে তল্লাশি করে ২০ জনের কাছে মোবাইল এবং চার জনের কাছে নকল পাওয়া যায়। ২০ জন স্মার্টফোন নিয়ে কেন্দ্রে ছিলেন। অপর চার জন বাহির থেকে ফটোকপি করে নকল নিয়ে কেন্দ্রে এসেছেন। যাচাই-বাছাই করে কেন্দ্র সচিব সরকারি মুকসুদপুর কলেজের অধ্যক্ষ এসএম মনির হাসান স্বাক্ষরিত নোটিশে তাদের বহিষ্কারের আদেশ দেওয়া হয়। এসব পরীক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ শিক্ষা বোর্ডে পাঠানো হয়েছে।’ 

কেন্দ্র সচিব সরকারি মুকসুদপুর কলেজের অধ্যক্ষ এসএম মনির হাসান বলেন, ‘বহিষ্কৃতরা আমার কলেজের শিক্ষার্থী। পরীক্ষা চলাকালীন তাদের কাছে মোবাইল ও নকল পাওয়া গেছে। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে তাদের বহিষ্কার করেছি।’ 

কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন সরকারি মুকসুদপুর কলেজের শিক্ষক কবির উদ্দিন, ট্যাগ কর্মকর্তা ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন এবং উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান।