স্পিডবোট-নৌকা সংঘর্ষে শিশু নিখোঁজের দুই দিন পর মরদেহ উদ্ধার

কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার ঘোড়াউত্রা নদীতে স্পিডবোট-নৌকা সংঘর্ষে নিখোঁজ হয় চার বছরের শিশু জান্নাত। নিখোঁজের দুই দিন পর আজ রবিবার বেলা পৌনে ১১টায় নিকলী হাওরের বেড়িবাঁধ এলাকায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কাছ থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল।

রবিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আবুজার গিফারী নিখোঁজ শিশু হুসরাতুল জান্নাত বুশরার মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, দুর্ঘটনার দুই দিন পর আজ রবিবার বেলা পৌনে ১১টায় দুর্ঘটনার স্থান থেকে নদীপথে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে নিকলী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কাছে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। শিশুটি নিখোঁজের পর থেকেই পাঁচ সদস্যের একটি ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযানে কাজ শুরু করে। কিন্তু নিখোঁজের সঠিক জায়গা কেউ বলতে না পারায় উদ্ধার কাজে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটেছে। মরদেহটি পুলিশের নিকট হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।

শিশু হুসরাতুল জান্নাত ভৈরব উপজেলার ভৈরবপুর গ্রামের নাসির উদ্দিনের মেয়ে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মিঠামইন উপজেলা সদরের রাষ্ট্রপতির ঘাট থেকে ১৫ জন যাত্রী নিয়ে ভাড়ায় চালিত একটি স্পিডবোট করিমগঞ্জ উপজেলার বালিখোলা যাচ্ছিল। রওনা দেওয়ার কয়েক মিনিট পর রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ সেনানিবাসের কাছে একটি মাছ ধরার নৌকার সঙ্গে ধাক্কা লেগে মাঝ নদীতে স্পিডবোটটি উল্টে যায়। এ সময় অন্য যাত্রীরা সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয় শিশু জান্নাত। সে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে স্পিডবোটে করে বাড়িতে যাচ্ছিল। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে।