গজারিয়ায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ৪ জনের কারাদণ্ড

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে অভিযান পরিচালনা করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। এ সময় পাঁচটি ঢালাই লোহার কারখানা ও তিনটি গ্রামের প্রায় দেড় হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। অবৈধ সংযোগ দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করায় চার জনকে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী লিটন, সুমন মিয়া ও হাবিব উল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে বক্তারকান্দি গ্রামে পাঁচটি ঢালাই লোহার কারখানা চালাচ্ছিল। বিকট শব্দের কারণে কারখানাগুলো বন্ধে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিল এলাকাবাসী।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও গজারিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিএম রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) আমরা গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের বক্তারকান্দি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করি। এ সময় ওই এলাকার পাঁচটি ঢালাই লোহার কারখানার ও তিনটি গ্রামের অবৈধ গ্যাস বিচ্ছিন্ন করা হয়। ঢালাই লোহার কারখানা থেকে গ্রেফতারকৃত হোসেন (৪১), জাহাঙ্গীর আলম (৩৩), রমিজ উদ্দিন (৫০) ও হাবিব খানকে (৪০) এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।’

প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে

তিতাস গ্যাসের সোনারগাঁ আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সুরুজ আলম বলেন, ‘গজারিয়া উপজেলার অবৈধ গ্যাস বিচ্ছিন্নে আমাদের অভিযান অব্যাহত ছিল। এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বক্তারকান্দি এলাকার পাঁচটি ঢালাই লোহার কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করি পাশাপাশি বক্তারকান্দি, টেকপাড়া ও মানাইরকান্দি গ্রামের প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। লাইনটির মাধ্যমে প্রায় দেড় হাজার অবৈধ সংযোগ চলতো।’

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তিতাস গ্যাসের মেঘনা আঞ্চলিক বিপণন অফিসের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান, সোনারগাঁ আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের ব্যবস্থাপক (মিটার এন্ড ভিজিল্যান্স) আতিকুল ইসলাম প্রমুখ। অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে গজারিয়া থানা পুলিশ।