‘বিশ্বাস হচ্ছে না আমার বোন ও ভাগনিরা আর বেঁচে নেই’

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে মা ও দুই মেয়ের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার শাহেদল ইউনিয়নের বাসুরচর গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃতরা হলেন সৌদি আরব প্রবাসী মঞ্জিল মিয়ার স্ত্রী তাসলিমা (৪২), বড় মেয়ে মহনা (১১) ও ছোট মেয়ে বন্যা (৭)।

ঘটনাটি এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না নিহত তাসলিমার ভাই মিলন মিয়া। তিনি বলেন, ‘আমার বোন তার দুই সন্তান নিয়ে এ বাড়িতে বসবাস করতো। তার স্বামী প্রায় সাত বছর যাবৎ সৌদি আরবে আছেন। কখনও তাদের স্বামী-স্ত্রী বা অন্য কারও সঙ্গে কলহের কথা শুনিনি। এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না আমার বোন ও ভাগনিরা আর বেঁচে নেই।’

মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ তিন মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পর পুলিশসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের নিজ বাড়ি থেকে মা ও দুই মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করি। নিহতের স্বামী একজন সৌদি প্রবাসী বলে জানতে পেরেছি। তবে তাদের মৃত্যুর বিষয়টি রহস্যজনক। আমাদের কাছে স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না। আবার এটি হত্যাকাণ্ড নাকি আত্মহত্যা সেটিও বলার মতো কোনও আলামত এখনও পাওয়া যায়নি। আপাতত বাড়িটি পুলিশের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। সিআইডি, পিবিআই ও গোয়েন্দা পুলিশ এ বিষয়ে কাজ করছে। ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহের কাজ চলছে।’

তিনি আরও জানান, তাসলিমা একাই বাড়িতে বাচ্চাদের নিয়ে বসবাস করতেন। ঘরের ভেতরে আসবাবপত্র এলোমেলো বা জবরদস্তি করার কোনও আলামত পাওয়া যায়নি। দরজাও ভেতর থেকে খোলা ছিল। সকালে নিহতের বড় মেয়ে মোহনার বান্ধবী তাকে খুঁজতে এসে দরজা ধাক্কা দিলে ঘটনাটি সামনে আসে।