এমপি হতে চাওয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের মনোনয়ন বাতিল

ভোটারের স্বাক্ষর জালিয়াতি করার অভিযোগে টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সদ্য পদত্যাগকারী উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনুছ ইসলাম তালুকদারের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সেটি বাতিল করেন।

জানা যায়, আওয়ামী লী‌গের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু টাঙ্গাইল-২ আস‌নে নির্বাচ‌নের জন‌্য এক শতাংশ ভোটা‌রের নাম প‌রিচয় ও স্বাক্ষরসহ আবেদনপত্র নির্বাচন অফিসে জমা দেন। এ সময় তার নিকটাত্মীয় ভূঞাপুর উপজেলার মাদারিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের আরফান আলী শেখের টিপসই নেওয়া হয়। পরব‌র্তী সময়ে নির্বাচন অফিস জমা দেওয়া ভোটারদের ম‌ধ্যে থে‌কে দশ জ‌নের নাম যাচাই-বাছাই ক‌রে। এতে নয় জ‌ন স্বাক্ষর করার কথা স্বীকার কর‌লেও আরফান আলী অস্বীকার ক‌রেন। ফ‌লে ইউনুছ ইসলামের ম‌নোনয়নপত্র বা‌তিল ঘোষণা করা হয়।

স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু বলেন, ‘আরফান আলী শেখ স্বাক্ষর দেওয়ার পর অস্বীকার করছেন। তার বাড়িতে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে আমি আপিল করবো।’

আরফান আলী শেখ বলেন, ‘আমরা কোনও রাজনী‌তির সঙ্গে জ‌ড়িত নই। অনেক সময় বি‌ভিন্ন সরকা‌রি সহায়তার জন‌্য আইডি কার্ড অনেকেই নেয়। আমি‌ তো স্বাক্ষর পারি,‌ টিপসই দিইনি। শুক্রবার বা‌ড়ি‌তে পু‌লিশ এসে‌ছিল। প‌রে তারা আমা‌কে ইউএনও অফিসে নি‌য়ে গি‌য়ে জান‌তে চায়, টিপসই আমার কিনা। প‌রে আমি তা‌দের ব‌লি এটা আমার টিপসই না।’

জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম বলেন, ‘ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডুর আবেদনে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর করে জমা দিয়েছেন। সেখান থেকে ১০ ভোটারের স্বাক্ষর ও তথ্য যাচাই-বাছাই করার জন্য অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। সেখানে ৯ জন ভোটারের তথ্য সঠিক পাওয়া যায়। তবে একজন ভোটারের তথ্য সঠিক পাওয়া যায়নি। ফলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থন যাচাই বিধিমালা ২০১১-এর ৫ বিধি লঙ্ঘিত হয়েছে। পরে আইন অনুযায়ী তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।’

প্রসঙ্গত, ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা পরিষদের তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। তিনি টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নের আশায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের বরাবর আবেদন করেন। পরে ৩ অক্টোবর স্থানীয় সরকার বিভাগ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ শূন্য ঘোষণা করেন।