নারায়ণগঞ্জ-৩ ও ৪

আচরণবিধি লঙ্ঘন: আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির দুই এমপিকে শোকজ

নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও নৌকার মনোনীত প্রার্থী এ কে এম শামীম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) তাদের দুজনকে শোকজ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির সভাপতি ও সোনারগাঁ আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ মোহসিনা ইসলাম স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকাকে শোকজের বিষয়ে নোটিশ দেন।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, গত ৩০ নভেম্বর সোনারগাঁয়ে সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নিকট মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান লিয়াকত হোসেন খোকা। এ সময় তিনি বহু মানুষের সমন্বয়ে মিছিল নিয়ে যান। বিষয়টি নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধির লঙ্ঘন। তার এমন আচরণ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে, যা নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির নজরে এসেছে। আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় আগামী ৪ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় সোনারগাঁ আদালতের সিনিয়র সহকারী জজের নিকট লিখিত ব্যাখ্যা দাখিলের জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।

এ বিষয়ে মন্তব্য নেওয়ার জন্য সংসদ সদস্য ও জাপা প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকাকে একাধিকার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।

তবে সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার ব্যক্তিগত সচিব মাহবুবুর রহমান কালাম বলেন, ‘শোকজ করা হয়েছে। আমরা সেই শোকজের জবাব দেবো।’

একইভাবে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও নৌকা প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী এ কে এম শামীম ওসমানকে শোকজ করা হয়েছে।

নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তা এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ কাজী ইয়াসিন হাবিব নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে এই নোটিশ দেন।

নোটিশে বলা হয়, গত ১ ডিসেম্বর জাতীয় পত্রিকার অনলাইনে ও ২ ডিসেম্বর প্রিন্ট ভার্সনে সচিত্র সংবাদ অনুযায়ী শুক্রবার শহরের তল্লা এলাকায় আপনার পক্ষে নৌকা প্রতীকের ফেস্টুন ও বাদ্যযন্ত্র নিয়ে মিছিল ও পথসভা করা হয়। যার ফলে যানবাহন ও পথচারীদের প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। এরূপ কার্যক্রম প্রার্থীর আচরণবিধিমালা ৬ এর (খ) এবং ১২ ধারা বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আগামী ৩ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনে ব্যক্তিগতভাবে বা প্রতিনিধির মাধ্যমে ব্যাখ্যাসহ কারণ দর্শানোর অনুরোধ করা হলো। একই সঙ্গে নির্বাচনপূর্ব সময়ে আচরণবিধি মেনে চলার জন্য আপনাকে অনুরোধ করা হলো।

তবে এ বিষয়ে মন্তব্য নেওয়ার জন্য সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের মুঠোফোনে ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তাদের দুজনকে শোকজ করার কথা শুনেছি। তবে এটা আমরা করিনি। জেলা জজ তাদের শোকজ করেছে।’