বিয়ের আড়াই মাস পর শাশুড়িকে হত্যার অভিযোগ পুত্রবধূর বিরুদ্ধে

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে পারিবারিক কলহের জেরে ছুরিকাঘাতে শাশুড়িকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পুত্রবধূর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শ্বশুরও। অভিযুক্ত পুত্রবধূ আইরিন আক্তারকে (১৯) আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার জামসা ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত তহুরা বেগম (৫০) ওই গ্রামের সোনামুদ্দিন বিশ্বাসের স্ত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাত্র আড়াই মাস আগে নিহত তহুরা বেগমের ছেলে রাসেল বিশ্বাসের সঙ্গে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা গ্রামের আইরিন আক্তারের বিয়ে হয়। ৯ দিন আগে ছেলে বিদেশে গেছেন। বিয়ের পর থেকেই শাশুড়ি ও বউয়ের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল।

মঙ্গলবার রাতে শ্বশুর ঘুমিয়ে যাওয়ার পর শাশুড়ি ও ছেলের বউ ঘরে বসে টিভি দেখছিলেন। পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে শাশুড়িকে টর্চ লাইট দিয়ে মাথায় আঘাত করেন পুত্রবধূ আইরিন। এরপর চিৎকার দিলে মুখ কাপড় দিয়ে চেপে ধরে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এতে তার হাত, মুখ, মাথা ও গলায় জখম হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করার পর পুত্রবধূ লাশ ঘর থেকে টেনে বের করে বারান্দার শৌচাগারে নিয়ে আসে।

সেখানে রক্তমাখা কাপড় পরিবর্তন করে লাশ গুম করার উদ্দেশে টেনে ঘরের বাইরে বের করা হয়। এ সময় শ্বশুরের ঘুম ভেঙে গেলে তিনি টের পান। এগিয়ে গেলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে। মুখে জখম হওয়ার পর জোর করে ছুরি ছিনিয়ে নেন শ্বশুর সোনামুদ্দিন। পরে তার ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে পুত্রবধূকে আটক করে।

সিংগাইর থানার ওসি জিয়ারুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে রাতেই লাশ উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। অভিযুক্ত আইরিন আক্তারকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কি না বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।