পদ্মায় ফেরিডুবির পাঁচ দিন পর মিললো ইঞ্জিন মাস্টারের মরদেহ

পদ্মায় রজনীগন্ধা ফেরিডুবির পাঁচ দিন পর মিললো নিখোঁজ দ্বিতীয় ইঞ্জিন মাস্টার হুমায়ুন কবিরের (৪৫) মরদেহ। ঘটনাস্থল থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে হরিরামপুরের বাহাদুরপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় এই মরদেহ।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ হরিরামপুর থানার ওসি শাহ নূরে আলমের উদ্ধৃতি দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পাটুরিয়া নৌ-থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, ফেরির দ্বিতীয় ইঞ্জিন মাস্টার হুমায়ুন কবিরের মরদেহ পদ্মা নদীর হরিরামপুরের অংশ থেকে উদ্ধার করা হয়।

নিহত হুমায়ুন কবির পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়ার মাটিভাঙা গ্রামের মৃত লতিফ পাহলানের ছেলে। ২০১১ সালে হুমায়ুন কবিরের চাকরি হয় ফেরি সেক্টরের গ্রিজার পদে। এরপর ফেরির তৃতীয় শ্রেণির মাস্টার পদে ও পরে দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টারে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হন তিনি। দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় রজনীগন্ধা ফেরিতে মারা যান তিনি।

ওসির বরাত দিয়ে ডিজিএম শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ জানান, সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিকালে জেলার হরিরামপুর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকায় পদ্মা নদীতে ভাসমান একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।

তিনি আরও জানান, হুমায়ুন কবিরের মরদেহ সন্ধ্যায় পাটুরিয়া ঘাটে প্রথম জানাজা শেষে পিরোজপুরে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৭ জানুয়ারি পদ্মার পাটুরিয়া ফেরিঘাটের অদূরে পদ্মা নদীতে ঘন কুয়াশার কারণে নোঙর করা অবস্থায় ৯টি যানবাহন নিয়ে ডুবে যায় ইউটিলিটি ফেরি রজনীগন্ধা। ঘটনার দিন থেকেই নিখোঁজ ছিলেন হুমায়ুন কবির।