৮ ঘণ্টা ভোগান্তির পর নারায়ণগঞ্জে বাস চলাচল শুরু

আট ঘণ্টা পর নারায়ণগঞ্জ থেকে সব রুটে যাত্রীবাহী বাস চলাচল শুরু হয়েছে। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ কেটেছে। রবিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টা থেকে বাস চলাচল শুরু হয়। এর আগে সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ঢাকা-নারায়ণগঞ্জসহ সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ ছিল। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। 

রুট পারমিট ছাড়া গাড়ি নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মাহমুদুল হক বলেছিলেন, অনুমোদনহীন গাড়ি তার জেলায় ঢুকলেই ডাম্পিংয়ে দেবেন। শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে নাগরিক সমস্যা সমাধানে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে এ ঘোষণা দেন তিনি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডিসির এমন ঘোষণার পর রবিবার সকাল থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জসহ সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেন পরিবহন মালিকরা। জেলার মধ্যে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাসগুলো হলো ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বন্ধন পরিবহন, উৎসব পরিবহন, আনন্দ পরিবহন, শীতল পরিবহন ও বিআরটিসি। চিটাগাং রোড-নারায়ণগঞ্জ রুটে বাঁধন ও বন্ধু পরিবহন চলাচল করে।

যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল থেকে বন্ধন, উৎসব, আনন্দ, বন্ধু ও বাঁধন পরিবহন চলাচল বন্ধ ছিল। তবে শীতল পরিবহন ও বিআরটিসির দুই-একটি বাস চলাচল করতে দেখা গেছে। বিকাল থেকে সবগুলো বাস চলাচল করতে দেখা গেছে।

বাস চলাচল বন্ধ রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বাস মালিক সমিতির কার্যকরী কমিটির সভাপতি মো. রওশন আলী সরকার বলেন, ‘বিকাল থেকে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। এখন সব রুটে বাস চলাচল করছে। এ বিষয়ে আগামীকাল সবাই বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শনিবার এমপি ও মেয়রের সঙ্গে ডিসি-এসপির গোলটেবিল বৈঠক হয়েছিল। সেখানে অনুমোদনহীন বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের অনেক গাড়ির রুট পারমিট নেই, আবার কিছু গাড়ির রুট পারমিট আছে। এ কারণে সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ ছিল। তবে দুপুরে আমরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। অনেকগুলো গাড়ির রুট পারমিটের জন্য আবেদন করেছি। সেসব গাড়ির রুট পারমিট এখনও পাইনি। এ নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত হবে।’

বিকালে বন্ধন বাসে চড়ে ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জে এসেছেন রবিউল হোসেন। তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ ছিল। এ কারণে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বেশি ভাড়া দিয়ে ঢাকায় যেতে হয়েছে। তবে বাড়ি ফেরার পথে বিকালে বন্ধন বাসে নারায়ণগঞ্জ এসেছি। যান চলাচল শুরু হওয়ায় ভোগান্তি দূর হয়েছে।’