মাদক বিক্রিতে ‘বাধা দেওয়ায়’ অটোরিকশাচালককে হত্যা, দুই আসামি গ্রেফতার

মাদক বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় গাজীপুরে অটোরিকশাচালক ইজাফর আলিকে (৪৫) হত্যার ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পলাতক প্রধান আসামি জুয়েল হোসেন (২৭) এবং অপর আসামি বাদল মিয়াকে (৩৫) ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১। বুধবার (৬ মার্চ) তাদের আদালতে পাঠানো হবে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাত সাড়ে ১১ টায় র‌্যাব-১-এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মাহফুজুর রহমান গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আছমা বেগম (৪০) বাদী হয়ে গাজীপুর মেট্রো সদর থানায় মামলা করেন। তিনি জানান, রবিবার (৩ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় সদর থানাধীন উত্তর ভুরুলিয়া (বাইতুল ফজল মসজিদের) পশ্চিম পাশে সৈনিক মোশারফের বাড়ির সামনে পায়ের রগ কেটে দুর্বৃত্তরা তার স্বামীকে হত্যা করে।

মামলায় আসামিরা হলেন মেট্রো সদর থানার চতর নয়াপাড়া এলাকার আলহাজ আলির ছেলে জুয়েল হোসেন এবং ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার কাদিরপুর গ্রামের বাহার উদ্দিনের ছেলে বাদল মিয়া। সোমবার (৪ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় গাজীপুর মেট্রো সদর থানাধীন শিমুলতলী (বিআইডিসি বাজার সংলগ্ন) বিএমটিএফ দুই নম্বর গেটের সামনে থেকে জুয়েল হোসেন এবং মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকালে গাজীপুর মেট্রো সদর থানার মধ্য ভুরুলিয়া (মারকাজ মসজিদ) এলাকার আব্দুল বারেকের চায়ের দোকানের সামনে থেকে বাদল মিয়াকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

র‌্যাব-১-এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মাহফুজুর রহমান জানান, ঘটনার দিন রবিবার গাজীপুর মেট্রো সদর থানাধীন বাঘলবাড়ী এলাকার আজাদুলের ছেলে রতন মিয়াসহ (২৬) অজ্ঞাতনামা কয়েকজন মাদক বিক্রি করছিল। এ সময় ভুরুলিয়া এলাকার মৃত হাজি ছলিম উদ্দিনের ছেলে আজাফর আলী (৫০) এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামি রতন মিয়াসহ তার ২-৩ জন সহযোগী ছোরা, শাবল, চাপাতি দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। এই ঘটনা দেখে ইসমাইল হোসেন তার বাবা নিহত ইজাফর আলিকে ডেকে নিয়ে আসে। তিনি রতন মিয়াকে মারধরের করার কারণ জিজ্ঞাসা করলে আসামিরা তার পায়ের রগ কেটে গুরুতর জখম করে। এ সময় নিহতের ছেলে ইসমাইল এবং ভাই আজাফরকেও মারধর করে আসামিরা। এদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা আজাফর আলিকে খুন করার হুমকি দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইজাফর আলিকে মৃত ঘোষণা করে। গুরুতর আহত আজাফর আলী ও ইসমাইল হোসেন ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অটোরিকশাচালক ইজাফর আলিকে হত্যা ও তার স্বজনদের হামলা করে আহত করার কথা স্বীকার করেছেন।

গাজীপুর মেট্রো সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাফিউল করিম জানান, মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতারকৃতদের থানায় হস্তান্তর করেছে র‌্যাব। বুধবার তাদের আদালতে পাঠানো হবে।