নদীতে মাছ ধরার সময় জেলেদের ওপর ডাকাতের হামলা

টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় যমুনা নদীতে মাছ ধরার সময় জেলেদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় জেলেদের জিম্মি করে মোবাইল ও টাকা লুটে নিয়েছে ডাকাতদল। এ ঘটনায় পাঁচ জেলে আহত হয়েছেন। বুধবার (২৭ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব সংলগ্ন যমুনা নদীর কালিহাতী উপজেলার বেলটিয়া এলাকায় ঘটনা ঘটে। তবে বিষয়টি বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকালে জানাজানি হয়।

আহতরা হলেন ভূঞাপুর উপজেলার পলশিয়া গ্রামের মধুসূধন রাজবংশী, শুশান্ত, শাকিল, লিটন ও ঈশ্বর রাজবংশী। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

আহতরা বলেন, প্রতিদিনের মতো বুধবার রাতে নৌকাযোগে যমুনা নদীতে মাছ ধরতে যান মধুসূধনসহ ছয় জেলে। মাছ ধরার সময় আরেকটি নৌকাযোগে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আট ডাকাত মাছ ধরায় বাধা দেয়। সেইসঙ্গে তাদের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল লুট করে নেয়। জেলেরা টাকা ও মোবাইল দিতে না চাইলে মারধর করা হয়। পরে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বিকাশের মাধ্যমে পরিবারের কাছে টাকা চাওয়া হয়। এ সময় নৌকার ইঞ্জিনে থাকা তেলও নিয়ে যায় ডাকাতরা। এরপর জেলেদের নৌকা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।

আহত মধুসূধন রাজবংশী বলেন, ডাকাতরা চাইনিজ কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে সবকিছু লুট করে নিয়ে যায়। আমাদের জিম্মি করে পরিবারের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা আনতে বাধ্য করে। ডাকাত দলের একজনের নাম জানতে পেরেছি। তার নাম রুবেল বলে অন্যরা ডাকছিল।

গোবিন্দাসী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কামাল হোসেন বলেন, রাতে নদীতে টহল দেওয়ার জন্য স্পিডবোট না থাকায় ডাকাতদের ধরা সম্ভব হয় না। তবে দিনের বেলায় নদীতে টহল দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে জানতে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মনিরুল ইসলামের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ আলমগীর বলেন, ‌যমুনা নদী থানার আওতায় পড়ে না। সেখানে সংগঠিত ঘটনাগুলো দেখভাল করে নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি।

এদিকে, যমুনা নদীতে প্রতিনিয়ত রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। নদীতে নৌ-পুলিশের তৎপরতা না থাকায় নৌপথে চলাচলকারীদের জিম্মি করে ডাকাতি করা হয়। যমুনা নদীর ওই অংশটুকু দেখভাল করে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। তবে ভুক্তভোগীরা ঝামেলার কারণে থানায় অভিযোগ দিতে যান না।