চাপ বাড়লেও নেই জট, নির্বিঘ্নে ঘরে ফিরছেন উত্তরের মানুষ

ঈদযাত্রায় উত্তরের পথে এখনও যানজটের সৃষ্টি হয়নি। শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরেও ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলতে দেখা গেছে। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় গাড়ির কিছুটা চাপ বেড়েছে। মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, আগে এই সময়ে উত্তরের পথে যানজট লেগে থাকতো। কিন্তু এবার ঈদযাত্রায় এখনও কোথাও যানজটের সৃষ্টি হয়নি। তবে ক্রমেই গাড়ির চাপ বাড়ছে। স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করছে। যানজট নিরসনে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রায় সাত শতাধিক পুলিশ কাজ করছে।

বগুড়াগামী হানিফ পরিবহনের যাত্রী তোফাজ্জল বলেন, ‘পরিবারের সঙ্গে একত্রে ঈদ উদযাপন করতে বাড়িতে যাচ্ছি। এবার অল্প সময়েই ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত এসেছি। সড়কে কোথাও যানজট পাইনি।’

লিটন নামে এক বাসযাত্রী বলেন, ‘গাবতলী থেকে বাসে রওনা হয়েছি। সড়কের কোথাও যানজটে আটকে থাকতে হয়নি। আশা করছি রংপুরে যানজট ছাড়াই পৌঁছাতে পারবো।’

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মীর মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান বলেন, ‘রাতে গাড়ির কিছুটা চাপ ছিল। সে তুলনায় বর্তমানে চাপ কমই রয়েছে। স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করছে। আশা করছি, ঘরমুখো মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে।’

এদিকে, হাইওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত আইজিপি) শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, ঈদকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলে মহাসড়কে কয়েকটি কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল প্লাজায় গাড়ির গতি কমে যাওয়া অন্যতম কারণ। মহাসড়কগুলো ফোর লেন হওয়ায় যানবাহন যে গতিতে আসে সেগুলো বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড়ে এসে ধীর হয়ে যায়। এ কারণে সেতুর কাছে এসে যানবাহনের জট বেঁধে যায়। এটা স্বাভাবিক বিষয়। 
তিনি জানান, এবারের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বাত্মক সজাগ রয়েছে। মহাসড়কে কোনও ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হবে না। এ ছাড়া পরিবহন মালিকদেরও এ বিষয়ে সজাগ হওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক পরিদর্শনকালে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।