গাজীপুরের কালিয়াকৈর সফিপুর আনসার ভিডিপি একাডেমিতে আন্দোলনকারীরা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। এ সময় দুটি প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালায় তারা। আত্মরক্ষার্থে আনসার সদস্যরা গুলি ছুড়লে দুজন নিহত হন। সংঘর্ষে কমপক্ষে শতাধিক আহত হয়েছেন।
পরে আনসার সদস্যরা মাইক দিয়ে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে ক্ষমা চেয়ে সবাইকে একাডেমির সামনে থেকে চলে যেতে অনুরোধ করেন। গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি ও বাসন থানায় হামলা চালিয়েছে আন্দোলনকারীরা। সোমবার (৫ আগস্ট) বিকালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন কালিয়াকৈর উপজেলার রাখালিয়াচালা গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে এলিম হোসেন ও অপর যুবকের (৪০) পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এলাকাবাসীর জানান, রবিবার (৪ আগস্ট) দুপুরে অন্দোলনকারীরা সফিপুর আনসার ভিডিপি একাডেমিতে হামলা চালালে সদস্যরা গুলি চালায়। গুলিতে অনেকেই আহত হয়। ওই ঘটনার জেরে সোমবার বিকালে আন্দোলনকারীরা আবারও আনসার ভিডিপি একাডেমিতে হামলা চালায়। তারা প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলে এবং অফিস ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে তারা অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করলে আনসার সদস্যরা গুলি ছোড়ে। গুলিতে দুই যুবকের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় প্রায় শতাধিক আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সফিপুর মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুই জনকে মৃত ঘোষণা করেন।
সফিপুর মডার্ন হাসপাতালের চিকিৎসক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘দুজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। আহত দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া বাকিদের সফিপুর মডার্ন হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল ও তানহা কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।’
একই দিন দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর মালেকের বাড়ি (ছয়দানা) এলাকায় সিটি করপোরেশনের মেয়র জায়েদা খাতুন ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বাসভবনে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে আন্দোলনকারীরা। তারা ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র বাইরে এনে অগ্নিসংযোগ করে। চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেলের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। রাজবাড়ী সড়কের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এরশাদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়।