সরকার পতনের আন্দোলনে গিয়ে পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ইমনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার (১৮ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার নলীন গ্রামে নইমুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইমনের জানাজা হয়। পরে নিজ গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
নিহত মো. ইমন (২১) উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের নলিন এলাকার জুলহাসের ছেলে। তিনি অজূর্না ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন।
জানাজায় অংশ নেন জেলা প্রশাসক মো. কায়সারুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার গোলাম সবুর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দিন, কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও সাবেক যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ভূঞাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক সেলিমুজ্জামান তালুকদার সেলু, গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা শাকিল উজ্জামান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা-উপজেলার সমন্বয়ক ও আত্মীয়স্বজনসহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষ। ইমনের ছোট ভাই হাফেজ সুমন জানাজায় ইমামতি করেন।
জানাজা শেষে বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, ইমন অজূর্না ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ছিল। সে শহীদ হয়েছে। তার পরিবারের দায়িত্ব বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিয়েছেন। বিষয়টি আমাদের ও তার পরিবারকে নিশ্চিত করেছেন তিনি। যথাসময়ে আমাদের দেশনায়ক দলের কান্ডারি দেশে ফিরবেন।
এর আগে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগের পর বিকালে টাঙ্গাইলের গোড়াই এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন কলেজছাত্র ইমন। তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ আগস্ট তার মৃত্যু হয়।
নিহত ইমন গোপালপুর উপজেলার নলীন নইমুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ভূঞাপুরের অলোয়া মনিরুজ্জামান স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০২৩ সালে এইচএসসি পাস করে গোপালপুরের হেমনগর ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হন। নিজের পড়াশোনার খরচ ও সংসারের হাল ধরতে টাঙ্গাইলে এক চাচার বাসায় থেকে টিউশনি করতেন তিনি।