গাজীপুরে জেল হত্যা দিবসের আলোচনা সভায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় জেল হত্যা দিবসের আলোচনা সভায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (৩ নভেম্বর) বেলা ২টার দিকে কাপাসিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার বেলা ২টায় দিবসটি উপলক্ষে কাপাসিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে আলোচনা সভার আয়োজন করেন উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধাসহ অর্ধশতাধিক লোকজন। এ সময় বাধা দেন কয়েকজন যুবক। পরে জাতীয় চার নেতার সম্মানে কাপাসিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাজউদ্দীন আহমদের ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তারা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন কাপাসিয়া উপজেলার কমান্ডার মাহমুদুল আলম খান বেনু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আইন উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির হোসেন পনির, বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইফাজ উদ্দিন, কবি ও সাহিত্যিক হেলাল উদ্দিন ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা ফখরুল আলম সিকদার প্রমুখ।

উপজেলা কমান্ডার মাহমুদুল আলম খান বেনু বলেন, ‘আমরা জাতীয় চার নেতার জন্য সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা ও মোনাজাত করেছি। আমরা যখন মোনাজাতের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি, ঠিক তখনই ১০-১২ জন যুবক এসে অনুষ্ঠানে বাধা দেন। বাধা দেওয়া ব্যক্তিদের বলেছি, আমরা এখানে ঝগড়া করতে আরিনি। এসেছি জাতীয় চার নেতার জন্য দোয়া করতে। জেল হত্যা দিবস পালন করা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। তোমরাও আমাদের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করো। তখন উচ্চবাচ্য করে চলে যান তারা। আমরা তাদের চিনি না।’

বীর মুক্তিযোদ্ধা আইন উদ্দিন বলেন, ‘কাপাসিয়া মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে ২৫ মিনিট দাঁড়িয়ে আলোচনা সভা করেছি আমরা। কোনও রকমে অনুষ্ঠানটি করেছি। কয়েকজন যুবকের বাধার কারণে সমস্যা তৈরি হয়েছিল।’

জেল হত্যা দিবসের অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একেএম লুৎফর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’

প্রসঙ্গত, রাতের আঁধারে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে হত্যা করা হয়। আওয়ামী লীগ দিবসটিতে আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি পালন করে থাকে।