কুমিল্লার মুরাদনগরের ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার চার জনের সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকালে পুনরায় কুমিল্লার আমলি আদালত ১১-এর বিচারক মমিনুল হকের আদালতে তাদের রিমান্ড চেয়েছেন মুরাদনগর থানার এসআই ও মামলার আইও রুহুল আমিন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদুর রহমান।
এর আগে গত গতকাল সোমবারও আসামিদের রিমান্ড চাওয়া হয়। কিন্তু নথিগত সমস্যার কারণে সেটির তারিখ ধার্য হয়নি।
আসামিরা হলো– মুরাদনগর উপজেলার সুমন, রমজান, আরিফ ও অনিক।
ওসি জানান, মুরাদনগরের ঘটনায় করা দ্বিতীয় মামলার গ্রেফতার চার জনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। বিচারক রিমান্ড শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন আগামী বৃহস্পতিবার।
এর আগে, ২৬ জুন (বৃহস্পতিবার) রাতে এক নারীকে ধর্ষণ ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এ সময় গ্রেফতার সুমন, রমজান, আরিফ ও অনিকসহ স্থানীয় কয়েকজন ওই নারীর ভিডিও ধারণ করে এবং অভিযুক্ত ধর্ষক ফজর আলীকে বেদম মারধর করে। শনিবার এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী। পর্নোগ্রাফি আইনে ওই এলাকার চার যুবককে গ্রেফতার করে মুরাদনগর থানা পুলিশ।
এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ফজর আলীকে গ্রেফতার করা হয়। সে বর্তমানে পুলিশ পাহারায় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।