টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো ৪ জনের

টাঙ্গাইলে পৃথক চারটি সড়ক দুর্ঘটনায় চার জন নিহত হয়েছেন। রবিবার রাত দেড়টার দিকে বাসাইলের বাঐখোলা, সোমবার সকাল ৭টার দিকে সখীপুর-টাঙ্গাইল সড়কের বেড়বাড়ী, ৯টার দিকে সখীপুর থানার সামনের সড়কে এবং ৮টার দিকে সখীপুর সাগরদিঘী সড়কের কুতুবপুর বাজার এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার কচুয়া গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে আবু বকর (৪৫), টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার পেকুয়া গ্রামের মৃত আবদুল গণির ছেলে জয়নুদ্দিন (৬৫), টাঙ্গাইল সদর উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মামুন খান (২৫) ও অজ্ঞাত এক ব্যক্তি। 

পুলিশ জানায়, নিহত জয়নুদ্দিনের বেয়াই মকবুল হোসেন মারা যাওয়ায় জানাজায় অংশ নেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে ছেলের মোটরসাইকেলে করে উপজেলার কচুয়া গ্রামে যাচ্ছিলেন। সকাল ৯টায় সখীপুর-ঢাকা সড়কের থানার সামনে এলে গতিরোধকে ধাক্কা খেয়ে জয়নুদ্দিন মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের চাপায় তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। 

মামুন খান ময়মনসিংহের ভালুকায় একটি কারখানায় চাকরি করতেন। দায়িত্ব পালন শেষে সকাল ৭টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে সখীপুর-টাঙ্গাইল সড়কের বেড়বাড়ী এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের চাপায় তিনি নিহত হন। আবু বকর একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক ছিলেন। তিনি মাছ আনার জন্য ঘাটাইলের জোরদিঘী এলাকায় যাচ্ছিলেন। সেখানে অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন।

রবিবার রাত দেড়টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়‌কের বাসাইল উপজেলার বাঐখোলা এলাকায় এক‌টি চলন্ত ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থ‌লেই অজ্ঞাত এক ব্যক্তি নিহত হন। পরে টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লাশ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এখনও তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, ‘সখীপুরে তিন জন নিহত হলেও দুজনের লাশ অভিযোগ না থাকায় স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। থানার সামনে দুর্ঘটনায় নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’