গুলি চালিয়ে ৭৮ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনার মাস্টারমাইন্ড গ্রেফতার

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মহিষ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৭৮ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনার মাস্টারমাইন্ডসহ ডাকাত দলের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। 

সোমবার (৫ মে) দুপুরে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান এ তথ্য জানান। এর আগে ২২ মার্চ উপজেলার বাঁশতৈল এলাকায় গুলি করে মহিষ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৭৮ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে।

পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ডাকাতির ঘটনার পর জেলা ডিবি ও মির্জাপুর থানার পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে। গত ২৩ মার্চ মির্জাপুর থানায় একটি ডাকাতির মামলা করে ভুক্তভোগীরা। এর ধারাবাহিকতায় গত ১১ এপ্রিল ঢাকার হাজারীবাগে অভিযান চালিয়ে ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত হায়েস গাড়ির চালক ও লুণ্ঠিত ১২ হাজার টাকাসহ ডাকাত মিলনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ১৮ এপ্রিল ঢাকার যাত্রাবাড়ী অভিযান চালিয়ে ডাকাতির ঘটনায় সেকেন্ড ইন কমান্ডার ঈসমাইলকে আটক করা হয়। ঈসমাইলের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ঈসমাইলের তথ্য মতে বাঁশতৈল এলাকা থেকে বেলতৈল সিরামিক মোড় থেকে ১০ রাউন্ড পিস্তলের গুলি উদ্ধার করা হয়। 
তিনি বলেন, গুলি উদ্ধারের বিষয়ে মির্জাপুর থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে। তারা তথ্য দেয়, মাস্টারমাইন্ড সাগর বারুইয়ের কাছে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি বিদেশি পিস্তল ও কালো লাল পালসার মোটরসাইকেল রয়েছে। এরপর গতকাল সোমবার (৪ মে) ঢাকার খিলগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্রধারী শুটার সাগর বারুইকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর পুলিশকে জানায়, ঘটনার দিন মির্জাপুরের কুমারজানি এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটির পাশে ম্যাগাজিন ভর্তি ৭ রাউন্ড তাজা গুলি ও একটি সচল বিদেশি পিস্তল ফেলে রেখে গেছে। এরপর পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, ডাকাতির ঘটনায় ম্যাগাজিন ভর্তি ৭ রাউন্ড গুলিসহ একটি পিস্তল, ১০ রাউন্ড তাজা গুলি, ৩ লাখ ১২ হাজার টাকা, তিনটি মোটরসাইকেল ও একটি হায়েস গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া আসামিদেরকে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে আদালতে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আদিবুর রহমান, ডিবি ওসি মোশাররফ হোসেন, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলাসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।