জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। এনসিপির কর্মী আল আমিন খন্দকার বাদী হয়ে সোমবার (৫ মে) বিকালে বাসন থানায় এ মামলা করেন। মামলায় হাসনাত আবদুল্লাহকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। এ ছাড়া ৪৩ জনের নাম উল্লেখসহ শতাধিক লোকজনকে আসামি করা হয়।
মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবকে মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেল, সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রোমানা আলী টুসি, গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুলতান মোহাম্মদ সিরাজ, সাধারণ সম্পাদক নাছির মোড়ল, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রিনা পারভীন, শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জামিল হাসান দুর্জয়সহ ১০০ জন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান মামলা হওয়ার বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘রবিবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তায় এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। চান্দনা চৌরাস্তায় যানজটে আটকে থাকা অবস্থায় দুর্বৃত্তরা চার-পাঁচটি মোটরসাইকেলে এসে তার গাড়িতে হামলা করে। এ ঘটনায় সোমবার মামলা হয়েছে।’
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হামলার ঘটনার পরপরই অভিযান চালিয়ে তাৎক্ষণিক দুজনকে আটক করে পুলিশ। এর মধ্যে বাসন এলাকা থেকে গাজীপুর মহানগরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগ নেতা নিজাম উদ্দিন ও কাশিমপুর থানা শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি মাসুম আহমেদ ওরফে দিপুকে আটক করা হয়। পরে রাতভর মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও ৫৪ জনকে আটক করে পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান জানান, সালনার গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন হাসনাত আবদুল্লাহ। চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় যানজটে আটকে থাকা অবস্থায় চার থেকে পাঁচটি মোটরসাইকেলে এসে তার গাড়িতে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। হামলায় তিনি হাতে আঘাত পান এবং গাড়ির গ্লাস ও উইন্ডশিল্ড ভেঙে যায়। দুর্বৃত্তদের হামলায় হাসনাতের গাড়ির গ্লাস ভেঙে গেলে হাসনাত আবদুল্লাহর কনুইয়ের কয়েক জায়গায় কেটে যায়।