ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যায় গ্রেফতার তামিমের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার তামিম হাওলাদারের গ্রামের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বুধবার (১৪ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সন্ধ্যায় তামিম হাওলাদারের বাড়ির দুটি ঘর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে মাদারীপুর সদর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

গ্রেফতার তামিম হাওলাদার (৩০) সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী এলাকার এরশাদ হাওলাদারের ছেলে। সাম্য হত্যার ঘটনায় তামিমসহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। বাকি দুজন হলেন ঝাউদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী গ্রামের পলাশ সরদার (৩০) ও ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের শশিকর গ্রামের সম্রাট মল্লিক (২৮)।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সূত্র জানায়, সাম্য হত্যার ঘটনায় মাদারীপুরের তিন জন গ্রেফতার হওয়ার খবর বুধবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। গ্রেফতার তিন জন মাদারীপুরের বাসিন্দা হলেও তাদের বাড়ি আলাদা স্থানে। বুধবার বিকালে ছাত্রদলের স্থানীয় কয়েকজন কর্মী-সমর্থকসহ স্থানীয় বিক্ষুব্ধ বাসিন্দারা জড়ো হয়ে তামিম হাওলাদারের বাড়িতে প্রথমে হামলা চালান। সন্ধ্যার দিকে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় তামিমদের দুটি ঘর আগুনে পুড়ে যায়।

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘উৎসুক জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে আগুন দিয়েছেন। সেখানে ছাত্রদলের কোনও সদস্য রয়েছে কিনা তা জানা নেই আমার।’

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) চাতক চাকমা বলেন, ‘সাম্য হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার তামিম হাওলাদার বাড়িতে বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা অগ্নিসংযোগ করেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি।’

এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার নিহত হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায়। এ ঘটনায় শাহরিয়ারের বড় ভাই এস এ এম শরিফুল আলম শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন।

পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত তিন আসামি তামিম, সম্রাট ও পলাশের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। বুধবার সকালে শেরেবাংলা নগর থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।