সোনালী ব্যাংকের পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার সাবেক কর্মকর্তার

সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎরাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক নারায়ণগঞ্জ করপোরেট শাখা থেকে ২৮টি ভুয়া ব্যাক টু ব্যাক এলসির বিপরীতে ৫ কোটি ২৬ লাখ ৫৪ হাজার ৪৯৩ টাকা আত্মসাতের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ব্যাংকটির সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার (পিও) নুরুজ্জামান।
রবিবার বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কেএম মহিউদ্দিনের আদালতে নুরুজ্জামানের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের এসআই গোলাম হোসেন এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় দুদকের দায়ের করা পৃথক দুটি মামলায় নুরুজ্জামানকে ৩০ মার্চ রাতে ঢাকার পুরানা পল্টনের ফ্ল্যাট বাসা থেকে দুদক এর একটি দল পুলিশের সহযোগিতায় গ্রেফতার করে। এরপর ৩১ মার্চ সাতদিন করে রিমান্ড আবেদন করে তাকে দুটি মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়। একইদিন আদালত একটি মামলায় নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে রিমান্ড শেষে রবিবার বিকালে দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তারা আদালতে হাজির করলে নুরুজ্জামান দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
সোমবার অপর মামলায় নুরুজ্জামানকে রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করা হবে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-২ এর উপ-পরিচালক মোজাহার আলী সরকার জানান, সোনালী ব্যাংক নারায়ণগঞ্জ করপোরেট শাখা থেকে তৎকালীন ডিজিএম সৈয়দ আহমেদ মিজি, প্রিন্সিপাল অফিসার নুরুজ্জামান ২০০৬ সালের ২ জানুয়ারি থেকে ২০০৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর মেয়াদে ২৮টি ব্যাক টু ব্যাক ভুয়া এলসির বিপরীতে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এনায়েতপুর এলাকায় অবস্থিত মেসার্স তাহা নিট কনসার্নের স্বত্বাধিকারী খন্দকার হারুন অর রশিদকে ঋণ দিয়ে এই টাকা আত্মসাৎ করেন।

অপরদিকে, সোনালী ব্যাংক নারায়ণগঞ্জ করপোরেট শাখা থেকে তৎকালীন ডিজিএম চৌধুরী আবদুল হান্নান, প্রিন্সিপাল অফিসার নুরুজ্জামান ২০০৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০০৭ সালের ২৮ অক্টোবর মেয়াদে ৪৪টি ব্যাক টু ব্যাক ভুয়া এলসির বিপরীতে ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় অবস্থিত মেসার্স সিয়াম নিট ওয়্যারের স্বত্বাধিকারী হাবিবুর রহমান বাবুকে ঋণ দিয়ে ২১ কোটি ৩৮ লাখ ৬ হাজার ৬৫৪ টাকা আত্মসাৎ করেন।

পৃথক দুটি ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-২ এর উপ-পরিচালক সামছুল আলম বাদী হয়ে গত বছরের মার্চে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন। মামলা দুটির অন্যান্য আসামিরা পলাতক রয়েছে।

/বিটি/এএইচ/