যশোর কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছর রবি মৌসুমে যশোরে প্রায় ৩ লাখ টন সবজি উৎপাদন হয়। এছাড়া আগাম উৎপাদন হয় আরও প্রায় ৬০ হাজার টন সবজি। উৎপাদিত এ সবজির এক-তৃতীয়াংশেই স্থানীয় চাহিদা পূরণ হয়। বাকি সবজি সরবরাহ করা হয় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। মাত্র দুই মাস আগে প্রবল বর্ষণে কিছুটা ক্ষতি হলেও এখন যশোরের সাতমাইল, বারিনগর, চুড়ামনকাটি, বাঘারপাড়ার খাজুরা, কোদালিয়াসহ বিভিন্ন উপজেলার মাঠের পর মাঠ আগাম শীতকালীন সবজিতে ভরা। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে ইতোমধ্যে সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে।
তিনি আরও জানান, মাস দুয়েক যদি সবজির বাজার এমন থাকে, তাহলে তারা ক্ষতি পুষিয়ে লাভের মুখ দেখতে পাবেন।
চুড়ামনকাটি এলাকার কৃষক আসাদুজ্জামান বলেন, ‘গেল বর্ষায় আমার শিমক্ষেত নষ্ট হয়েছে। এতে আমি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন ক্ষেত পরিচর্যা করছি। বাজারে এখন ৭০ থেকে ৮০ দরে বিক্রি হচ্ছে শিম।’
বরিশাল থেকে আসা ব্যাপারী মাহবুবুর রহমান এবং চট্টগ্রামের অশোক কুমার ঘোষ বলেন,‘ এবার আগাম শীতকালীন সবজির দাম খুব একটা কমবে বলে মনে হচ্ছে না।
যশোর কৃষি অধিদফতরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কামরুজ্জামান জানান, এ বছর যশোর জেলায় প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন সবজি আবাদ করা হয়েছে। এছাড়া প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চাষাবাদ শুরু হয়েছে।
/এমডিপি/