আদালতে জবানবন্দি শেষে চার জেএমবি সদস্য কারাগারে

 

বাগেরহাটবাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার মঘিয়া গ্রাম থেকে গ্রেফতারকৃত চার জেএমবি সদস্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাটের জেষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম মো. আসিফ আকরামের আদালতে তারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। পরে তাদেরকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বাগেরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত চার জেএমবি সদস্য হলো- আকাশ মোল্লা ওরফে বাবু (১৯), হাবিবুল্লাহ শেখ (১৮),মিজানুর রহমান হাওলাদার (২৬) ও কবিরুল ফরাজী (২৯) ।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃতরা জবানবন্দিতে জেএমবির সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে বাগেরহাটের কচুয়া থানায় পৃথক চারটি মামলা করে পুলিশ।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার বাদী গাজী ইকবাল হোসেন বলেন, তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে যা তদন্তের স্বার্থে এখনই প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

গ্রেফতারকৃতরা পুরোনো নাকি নব্য জেএমবির নেতৃত্বে পরিচালিত, সে বিষয়ে পুলিশের কাছ থেকে স্পষ্ট কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের জেএমবি সদস্য বলে দাবি করে বলেন, এ বিষয়ে পরে আরও বিস্তারিত জানানো হবে।


গ্রেফতার হওয়া আকাশ মোল্লা ওরফে বাবু কচুয়া ডিগ্রি কলেজ থেকে এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন। প্রায় দুই বছর আগে নিজ বাড়িতে বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরিত হলে তিনি আহত হয়েছিলেন। পারিবারিকভাবে তিনি আহলে হাদিস মতাদর্শী।

হাবিবুল্লাহ শেখ পিরোজপুরের কেয়ামুদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে আগামী বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

মিজানুর রহমান হাওলাদার পিরোজপুরের দূর্গাপুর আলিয়া মাদ্রাসা থেকে এ বছর দাখিল পাশ করেছেন।

কবিরুল ফরাজী (২৯) পেশায় আইনজীবীর সহকারী (মহুরি)। তিনি চার বছরেরও বেশি সময় ধরে জেএমবির সঙ্গে সম্পৃক্ত। অন্যরা এক থেকে দুই বছর ধরে জেএমবির সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন।

গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশকে এ সব তথ্য জানিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক গাজী ইকবাল হোসেন।

এদিকে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় জানান, বুধবার সকাল ১১টায় খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মনিরুজ্জামান বাগেরহাট এসপি অফিসের কনফারেন্স রুমে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিস্তারিত আলেচনা করবেন।

/এআর/