দক্ষিণাঞ্চলের অত্যাধুনিক খাদ্য গুদাম মংলা সাইলো চালু হচ্ছে আজ

দক্ষিণাঞ্চলের অত্যাধুনিক খাদ্য গুদাম মংলা সাইলো চালু হচ্ছে আজদক্ষিণাঞ্চলের বৃহৎ ও অত্যাধুনিক খাদ্য গুদাম মংলা সাইলো আজ বৃহস্পতিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হচ্ছে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি উদ্ধোধন করবেন।

জানা গেছে, সাইলোটি ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন। কীটনাশক ছাড়াই পাঁচ বছর খাদ্যশস্য মজুদ রাখার লক্ষ্যে নির্মাণ করা হয় অত্যধুনিক এ সাইলো। ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ সাইলোটি উপকূলীয় ১৯ জেলার খাদ্য নিরাপত্তাও দেবে।

২০০৯ সালে বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট ও বৈদেশিক মন্দা চলছিল। সংকট কাটতে না কাটতেই ২০০৯ সালের ২৫ মে মাসে খুলনা ও বাগেরহাটসহ দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানে ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় আইলা। এতে ঘর-বাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ভবিষ্যতে এমন ঝড় পরবর্তী সংকট মোকাবেলা এবং অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে তখন উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি খাদ্য মজুদের পরিকল্পনা নেয় সরকার। এরই অংশ হিসেবে মংলা শহর থেকে  ১৭ কিলোমিটার দক্ষিণে সমুদ্রের দিকে পশুর নদীর তীরে এ সাইলো নির্মাণ করা হয়। ইতোমধ্যে চল্লিশ মিটার উচ্চতার ৩০টি সাইলো বিন ও যন্ত্রপাতি স্থাপনের জন্য ১২৫ মিটার এক্সেজ ব্রিজের সঙ্গে ২৫০ মিটার দীর্ঘ জেটি টার্মিনাল নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

দক্ষিণাঞ্চলের অত্যাধুনিক খাদ্য গুদাম মংলা সাইলো

মংলা সাইলো প্রকল্পের সাইলো সুপার এফ এম মিজানুর রহমান জানান, সুন্দরবনের পাশে মংলার জয়মনিতে নির্মিত এ খাদ্য গুদামটি বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১০ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পটির মাধ্যমে বিদেশ থেকে আমদানি করা খাদ্য-শস্য নিরাপদে শুধু সংরক্ষণই হবে না, এখানকার জনপদেরও ব্যাপক উন্নয়ন হবে। এ প্রল্পটি শেষ করার পর এখানে আরও এক লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ধারণ ক্ষমতার আরেকটি স্টিল সাইলো নির্মাণ করার পরিকল্পানা সরকারের রয়েছে। এ সাইলোর গুণগত মান দেখে আরও কয়েকটি সাইলো নির্মাণে সহযোগিতা করবে বিশ্বব্যাংক।

সাইলো নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান তমা কনস্টাকশনের প্রজেক্ট ম্যানেজার একরামুল হক জানান, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত গতিতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এ সাইলো নির্মাণ হয়েছে। এ কাজে বেশ কয়েকটি বিদেশি রাষ্ট্রের অভিজ্ঞ প্রকৌশলীরা সহযোগিতা করেছেন।

/এএ/