যশোরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ব্যক্তি বেনাপোলের আনসার সদস্যের হত্যাকারী

যশোরযশোরে বুধবার দিনগত গভীর রাতে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত ব্যক্তির নাম মনিরুজ্জামান রিপন ওরফে মো. রিপন হোসেন। তিনি বেনাপোল বন্দরে কর্মরত আনসার সদস্য ফিরোজ হাসান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি বলে জানা গেছে। বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে যশোর সদর উপজেলার পাঁচবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে যশোর-মাগুরা মহাসড়কের ওপর কথিত গোলাগুলিতে নিহত হন তিনি।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।
নিহত রিপনের বাবার নাম হাবিবুর রহমান।বাড়ি বেনাপোল পোর্ট থানার ছোটআঁচড়া গ্রামে।
ওসি বলেন, ‘নিহত রিপন একজন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে থানায় হত্যা, অস্ত্র, ডাকাতি, বিস্ফোরক ও ছিনতাইসহ ২১টি মামলা রয়েছে।’
পুলিশ সূত্র জানান, গত ১৫ নভেম্বর বেনাপোলের ছোটআঁচড়া এলাকার বাসিন্দা রিপনের নেতৃত্বে ৮-১০ সন্ত্রাসী বন্দরে কর্তব্যরত আনসার সদস্য ফিরোজ হাসানের ওপর হামলা চালায়। তারা হাতুড়ি ও রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ফিরোজকে।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, যশোর জেনারেল হাসপাতাল এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘ ১৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার বিকেলে মারা যান ফিরোজ। এই ১৫ দিন তিনি সংজ্ঞাহীন ছিলেন।

এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ছিলেন রিপন হোসেন। তিনি এলাকায় আওয়ামী লীগ আশ্রিত ক্যাডার হিসেবে পরিচিত সূত্রমতে জানা যায়।  

রিপনের মামা শহিদুল ইসলাম বৃহস্পতিবার সকালে জেনারেল হাসপাতাল মর্গে এসে ভাগ্নের লাশ শনাক্ত করেন। তিনি দাবি করেন, বুধবার বিকেলে রিপনকে আটক করে পুলিশ। নিহতের স্ত্রী শিরিন বকুলও একই দাবি করেন।

নিহতের চাচাতো ভাই কোরবান আলী জানান, রিপন আনসার হত্যাপ্রচেষ্টা মামলায় বুধবারই আদালত থেকে জামিন নিয়ে বাড়ি ফেরেন। এর পর পরই ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাকে তুলে নিয়ে যায়। সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ বিষয়টি অস্বীকার করে।

/এইচকে/