তবে মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেসব স্থানে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায় ও যেখানে তাদের মাটিচাপা দেয় সেসব বধ্যভূমি ও গণকবরগুলো এখন পর্যন্ত সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ৪৫ বছর ধরে অযত্ন আর অবহেলায় হারিয়ে যেতে বসেছে বধ্যভূমি ও গণকবরের স্মৃতিচিহ্নটুকুও। তৈরি হয়নি মুক্তিযুদ্ধের কোনও ভাস্কর্য।
১৯৭১ সালের ২ মার্চ সাতক্ষীরা শহরে পাকিস্তানবিরোধী মিছিলে রাজাকাররা গুলি করে হত্যা করে শহীদ আব্দুর রাজ্জাককে। এই ঘটনার পরই শুরু প্রতিরোধ আর সাতক্ষীরার দামাল ছেলেদের মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া।
প্রায় ৯ মাস লড়াইয়ের পর নভেম্বরের শেষে মুক্তিযোদ্ধারা শক্তি সঞ্চয় করে হামলা জোরদার করেন। ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর বিদ্যুতের আলো বিচ্ছিন্ন করতে টাইম বোমা দিয়ে শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত পাওয়ার হাউস উড়িয়ে দেন মুক্তিযোদ্ধারা। এতে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে যায় হানাদাররা। একই সঙ্গে রাতের আঁধারে বেড়ে যায় মুক্তিযোদ্ধাদের গুপ্তহামলা। পিছু হটতে শুরু করে পাকিস্তানি সেনারা।
৬ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধাদের হামলায় টিকতে না পেরে বাঁকাল, কদমতলা ও বেনেরপোতা ব্রিজ উড়িয়ে দিয়ে পাকিস্তানি বাহিনী সাতক্ষীরা থেকে পালিয়ে যায়। ৭ ডিসেম্বর জয়ের উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন সাতক্ষীরার দামাল ছেলেরা।
আরও পড়ুন-
শিশুর শরীরের ১০ শতাংশের বেশি ওজনের স্কুলব্যাগ বহনে নিষেধাজ্ঞা
/এফএস/