কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে খুলনা বিএনপি’র কার্যালয়ে তালা

khulna bnp-2খুলনা জেলা বিএনপির নতুন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে একাংশের আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছে বিএনপি। বিএনপি নেতা আমির এজাজ খানকে সাধারণ সম্পাদক করায় ক্ষুব্ধ অংশটির নেতা-কর্মীরা মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। পরে বেলা ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বিএনপির জেলা ও মহানগর অফিসের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

এ সময় তারা নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমির এজাজ খানের কুশপুত্তলিকা দাহ করে।

সদ্য বিলুপ্ত জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জুলফিকার আলী জুলু বলেন, ‘বিগত দিনে কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদকের মত গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে সরকার বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে দেখা যায়নি আমির এজাজ খানকে। তিনি কেবল এমপি হওয়ার জন্য নিজ নির্বাচনি এলাকায় প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ততা দেখিয়েছেন। পাশাপাশি সরকার সমর্থকদের কৃপা পাওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু দলীয় কর্মীরা জেল-হাজতবাস করলেও তিনি কারাবরণকারীদের খোঁজ খবর পর্যন্ত নেননি।’

khulna bnp-4কেন্দ্রীয় বিএনপি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে প্রত্যাহার করাসহ সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান না করলে নেতাকর্মীরা আগামীতে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবে বলেও উল্লেখ করেন এই  বিএনপি নেতা।

অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম  মনাকে সভাপতি এবং আমীর এজাজ খানকে সাধারণ সম্পাদক করে সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) খুলনা জেলা বিএনপির আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্র থেকে কমিটি ঘোষণার একদিন পরই ক্ষুব্ধ অংশটির নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া জেলা যুবদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক জিএম রাসেল ইসলাম বলেন, ‘আমরা নিষ্ক্রিয় আমির এজাজের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অপসারণের দাবিতে দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছি এবং কুশপুত্তলিকা দাহ করেছি। এতেও যদি তাকে অপসারণ করা না হয় তাহলে খুলনা আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠবে।’

সদ্য বিলুপ্ত জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পির সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন সদ্য বিলুপ্ত জেলা বিএনপির  সহ-সভাপতি জুলফিকার আলী জুলু।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমির এজাজ খান সাধারণ সম্পাদক হওয়ার আগে সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। আন্দোলন-সংগ্রাম এবং দলীয় কর্মসূচিতে তাকে সে সময় পাওয়া যায়নি। অথচ তাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। যে কারণে নেতা-কর্মীরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তাকে বহাল রাখা হলে দলীয় কর্মসূচিতে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করবেন না। আমরা তার অপসারণের দাবি জানাচ্ছি। তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি। সমাবেশে ৯ থানা এবং দু’টি পৌরসভার নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে অধ্যাপক মাজিদুল ইসলামকে সভাপতি, অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনাকে সাধারণ সম্পাদক ও আমীর এজাজ খানকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৫ সদস্যের জেলা বিএনপির আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। সাত বছর পর সোমবার নতুনভাবে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করে নতুন আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

/বিটি/