পরিবহন ধর্মঘট: বেনাপোলে আটকা পড়েছে শত শত যাত্রী

বেনাপোল স্থলবন্দরখুলনায় ধর্মঘটের কারণে বেনাপোল চেকপোস্টে আটকা পড়েছে ভারত থেকে ফিরে আসা শত শত পাসপোর্টধারী যাত্রী এবং প্রায় চার শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের কারণে যাত্রীরা বন্দরে আটকে পড়ে।

সোমবার সকাল থেকে বেনাপোলের আবাসিক হোটেলগুলোতেও কোনও সিট খালি না থাকায় রোগী এবং বৃদ্ধরা  ভোগান্তিতে রয়েছে।যাত্রীদের জন্য নির্মিত ৩ তলা বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক প্যাসেনজার টার্মিনালটি বন্দর কর্তৃপক্ষ দখল করে রাখায় যাত্রীরা কোথাও বিশ্রাম নিতে পারছে না।

বেনাপোলের সোহাগ পরিবহনের ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম জানান, মালিক পক্ষের সিদ্ধান্তের কারণে বেনাপোল থেকে সব রুটে পরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত বেনাপোল বন্দর থেকে কোনও পরিবহন ছেড়ে যাবে না। তিনি আরও জানান, ভারত থেকে ফিরে আসা যাত্রীরা কেউ বিকল্প উপায়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন আবার কেউ কেউ পরিবহন কাউন্টার, বিভিন্ন  আবাসিক হোটেলে ও চায়ের দোকানে অপেক্ষা করছেন।

বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি কামাল হোসেন জানান, যে সব ট্রাক বন্দর থেকে পণ্য লোড করছে, তারা ধর্মঘট শেষ হওয়ার আশায় বন্দরেই অপেক্ষা করছে। যদি ধর্মঘট দ্রুত প্রত্যাহার করা না হয়, তাহলে বন্দরে ভয়াবহ পণ্যজটসহ যানজটের আশঙ্কা রয়েছে।

বেনাপোল সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, ‘ধর্মঘটের কারণে বেনাপোল বন্দরে প্রায় চার শতাধিক ট্রাক আমদানি পণ্য নিয়ে বন্দর এলাকায় আটকা পড়েছে। এসব পণ্যের মধ্যে শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত কাঁচামাল ও জরুরি অক্সিজেন এবং পচনশীল বিভিন্ন ধরনের পণ্য রয়েছে। শ্রমিক ধর্মঘট দ্রত সমাধান না হলে আটকে থাকা পণ্য পচে ব্যবসায়ীরা মারাত্বকভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। 

প্রসঙ্গত, রবিবার ভোর ৬টা থেকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের আহ্বানে এ ধর্মঘট পালন করা হচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিক মিশুক মুনীর ও চলচিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদসহ পাঁচজন নিহত হওয়ার মামলায় বাস চালক জমির হোসেনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের প্রতিবাদে এ ধর্মঘটের আহ্বান করা হয়। 

/এমডিপি/