ঝিনাইদহে জঙ্গি আস্তানা: বাড়ির মালিক আবদুল্লাহ’র শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদ

ঝিনাইদহে জঙ্গি আস্তানাঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামের ঠনঠনেপাড়ায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের পর এখন পর্যন্ত কোনও মামলা দায়ের করা হয়নি। তবে শিগগিরই মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেন্দ্রনাথ সরকার। এদিকে বাড়ির মালিক জঙ্গি আবদুল্লাহ সপরিবারে পলাতক রয়েছে। তবে আবদুল্লাহ’র শাশুড়ি মাজেদা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাসের জন্য শনিবার রাতেই পুলিশ থানায় নিয়ে এসেছে।

ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, ‘জঙ্গি আস্তানার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। রবিবারই মামলা দায়ের করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে জঙ্গি আবদুল্লাহ সপরিবারে পালিয়েছে। তার কোনও ট্রেস পাওয়া যাচ্ছে না।  তবে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবদুল্লাহর শাশুড়ি মাজেদা খাতুনকে রাতেই থানায় নিয়ে এসেছে।’ঝিনাইদহে জঙ্গি আস্তানা

উল্লেখ্য শুক্রবার বিকাল ৫টা থেকে ঠনঠনেপাড়ার ওই বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়। শনিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে অপারেশন ‘সাউথ প’ শুরু হয়। অভিযান শেষ হয় বেলা ২টায়। প্রায় ৪ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের অভিযানে ওই জঙ্গি আস্তানা থেকে বিস্ফোরক তৈরি রাসায়নিক ভর্তি ২০টি ড্রাম, একটি সেভেন পয়েন্ট সিক্স বোরের পিস্তল, একটা ম্যাগাজিন, সাত রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। পাঁচটি বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়। বাড়ির ভেতর থেকে ১৫টি জিহাদি বইও উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের ৩০ জন এবং খুলনা রেঞ্জের পুলিশ, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), র‌্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ৪০০ সদস্য এই অভিযানে অংশ নেন।ঝিনাইদহে জঙ্গি আস্তানা

অপারেশন ‘সাউথ প’ (দক্ষিণে থাবা) সমাপ্ত ঘোষণার পর এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহমেদ জানান, বাড়িটিকে জঙ্গিদের বোমা তৈরির কারখানা বলা যেতে পারে। এই বাড়িতে তিন-চার জন জঙ্গি ছিল। তারা আগেই পালিয়ে গেছে। এই জঙ্গিদের সবাই জেএমবি ও নব্য জেএমবির সদস্য। এই বাড়িতে জঙ্গি সংগঠনগুলোর বিভাগীয় পর্যায়ের লোকজন আসা যাওয়া করতো।

/এফএস/ 

আরও পড়ুন- 


রানা প্লাজার নিখোঁজ শ্রমিকদের সন্ধান মেলেনি আজও