উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের অধিবাসী রত্নার বিয়ে ঠিক করে ফেলেছিলেন তার বাবা বাক্কু মিয়া। কিন্তু রত্না আরও লেখাপড়া করতে চায়। তাই যে কোনোভাবেই হোক, বিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা চালায় সে। সাহায্যের প্রত্যাশায় বুধবার (২৬ এপ্রিল) বিকালে রত্না ইউএনও ছাদেকুর রহমানকে ফোন করে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকেও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়। রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার সহকারি কর্মকর্তা (এসআই) নিরব হোসেনের সঙ্গে উপস্থিত হন রত্নার বাড়িতে। তারা রত্নার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বিয়ে বন্ধের ব্যবস্থা করেন।
এ প্রসঙ্গে ছাদেকুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মেয়েটি বিকালে তার বিয়ে বন্ধ করার জন্য আমাকে ফোন করে। এরপর বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আমি মেয়েটির বাড়িতে যাই। পরিবারের লোকজনকে বুঝিয়ে তার বিয়ে বন্ধ করি। মেয়েটি লেখাপাড়া করতে চায়। সমাজের অন্য মেয়েরা যদি এভাবে বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসে, তাহলে একদিন এ উপজেলাকে বাল্যবিয়ে মুক্ত করা সম্ভব হবে।’
/এসএমএ/এসএ/