এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় পটলের হাট বসে বাগআঁচড়া ও বাহাদুরপুর বাজারে। দুই হাটে প্রতিদিন তিন থেকে পাঁচ হাজার মণ পটল আর দেড় থেকে দুই হাজার মণ করলা কেনাবেচা হয়। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাকিটা চলে যায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
বাহাদুরপুর গ্রামের চাষি ফরিদ গাজি বলেন, ‘আগে চার-পাঁচ টাকা দরে পটল বেঁচতাম। আজ বেঁচেছি ২২ টাকা দরে। পাঁচ বিঘা জমিতি চাষ করে এই পর্যন্ত প্রায় ৭০ হাজার টাকার পটল বেঁচছি। আরও লাখ টাকার পটল বেচার আশা আছে।’
একই গ্রামের উচ্ছে চাষি আবুল হোসেন বলেন, ‘আগে ২০-২৫ টাকা দরে উচ্ছে বিক্রি করতাম। এখন ৩০-৩৫ টাকা দরে বেচাকেনা হচ্ছে। রোজায় উচ্ছের চাহিদা ও দাম আরও বাড়বে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হীরক কুমার সরকার জানান, এ বছর শার্শায় ৩২০ হেক্টর জমিতে বারী-১ ও বারী-২ সহ স্থানীয় বিভিন্ন জাতের পটলের এবং ৮০ হেক্টর জমিতে করলার চাষ হয়েছে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নারায়ণচন্দ্র পাল বলেন, অনুকূল আবহাওয়ার কারণে উপজেলায় পটল আর করলার বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকের মধ্যে পটল চাষের আগ্রহ বাড়ছে। আর এ মৌসুমে আশানুরূপ দাম পেয়ে কৃষকরা দারুণ খুশি।
/এসএস/বিএল/