নিজের ও মনিষীদের বাণী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে লিখে রাখেন তিনি। পরিবেশ রক্ষায় ‘বৃক্ষ রোপণ করুন, ধরিত্রীকে বাঁচান’, ‘বৃক্ষ আপনার দুর্দিনের বন্ধু’, ‘একটি বৃক্ষ একটি জীবন’, ‘বৃক্ষ রোপণ দেশসেবার একটি বড় মাধ্যম’, ‘বৃক্ষ পৃথিবীর পোশাক’ এ ধরনের বাণী অসংখ্য দেয়ালে দেখা যায়। তার লক্ষ্য দেয়াল লিখনের মাধ্যমে পরিব্শে সম্পর্কে মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়ানো।
এছাড়া মাটির কলস দিয়ে কৃত্রিম পাখির বাসা তৈরির পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন জহির রায়হান। রংমিস্ত্রি হলেও তিনি পরিবেশ রক্ষার কাজও করছেন। দেশের জলবায়ু রক্ষায় গড়ে তুলেছেন নার্সারি। আর সেই নার্সারি থেকে ফলজ, বনজ ও ওষধি গাছ বিনামূল্যে বিতরণ করেন।
গাছের চারা রোপণের পাশাপাশি মানুষকে সচেতন করার জন্য জহির রায়হান বিকল্প কিছু একটা করতে চাচ্ছিলেন। তাই শুরু করেন জলবায়ু রক্ষা আন্দোলন। ‘দেশ আমার, ভাবনাও আমার’ শ্লোগানে জেলার বিভিন্ন গ্রাম ও বাজারে আয়োজন করেন আলোচনা সভা। এসব সভায় মসজিদের ইমাম, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ বক্তব্য রাখেন। সভায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করেন পেয়ারা, বকুল, মেহগনি, জলপায়, হরিতকি ও বহেরা গাছের চারা।
গাছ পেয়ে চন্ডিপুর গ্রামের বাসিন্দা সামছুল হক ও আকবার আলী বলেন, ‘জহির রায়হান বিনামূল্যে আমাদের গাছ দিয়েছেন এবং তা রোপণের নিয়মও বলে দিয়েছেন। যদি কোনও সমস্যা হয় তাহলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছেন।’
এ ব্যাপারে জহির রায়হান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর ধরে আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে। সময়মতো বৃষ্টি হয় না। আবার অতিবৃষ্টির কারণে ফসলহানি হচ্ছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো পরিবেশ রক্ষায় আন্দোলন শুরু করেছে। আমাদেরও এই আন্দোলনে অংশ নিতে হবে। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় প্রতিবছর বিনামূল্যে গাছের চারা বিতরণ করেন। আমাদেরও সাধ্যমত গাছের চারা রোপন করতে হবে। তাহলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে আমরা মুক্ত থাকতে পারবো।’
এ সময় তিনি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
/এসএনএইচ/