তিন তলা বাড়ির মালিক নিশি কান্ত সাহা কিভাবে কার্ড পেলেন জানতে চাইলে কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আইনাল হক বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে দেখবো। যদি তিন তলা বাড়ির মালিক কার্ড পেয়ে থাকেন— সেটা আমি বাতিল করে যে পাওয়ার যোগ্য তাকে দেওয়ার চেষ্টা করবো।’
আইনাল হক জানান, ‘কমপক্ষে ৬৫ বছর বয়সী পুরুষ ও ৬২ বছর বয়সী মহিলারা বয়স্ক ভাতার কার্ড পান। যারা অস্বচ্ছল, অসহায় ও গরিব তারাই এই কার্ড পাওয়ার যোগ্য। এছাড়া প্রতিবন্ধী ও অক্ষম ব্যক্তিরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাবেন।’
কলেজ পাড়ার কয়েকজন জানান, নিশি কান্ত সাহার দুই ছেলে। বড় ছেলে প্রদীপ সাহা ইউনিলিভার কেম্পানিতে চাকরি করেন। তিনি যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলাতে থাকেন। ছোট ছেলে বেথুলী ডিএসবি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। ছোট ছেলের স্ত্রী পলি রানী সাহাও কালীগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর এলাকার রোস্তম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।
পৌর সভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফাইজুর রহমান চুন্নু বলেন, ‘কলেজ পাড়ায় ৫/৬টি নতুন কার্ড বরাদ্দ এসেছে। যাদের কার্ড দেওয়া হয়েছে তারা সবাই প্রভাবশালী।’ এক রাজনৈতিক নেতার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘৮৮টি কার্ড বরাদ্দ হয়েছে। সেখানে কাউন্সিলরদের ভাগে ৯টি করে পড়ে। কিন্তু তিনি (রাজনৈতিক নেতা) আমাদের দিয়েছেন ২টি করে।’
নিশি কান্ত সাহা বলেন, ‘কার্ড করিলাম। তা ক্যানসেল করে দিচ্ছি। আমার তিন তলা বিলাস বহুল বাড়ি, অবস্থাও ভাল। কিন্তু আমার খুব অসুবিধা। ছেলেরা যা আয় করে তাদেরই চলে না। আর সব ছেলেরা তো আমাকে টাকা পয়সা দেয় না। সবার যখন কু-দৃষ্টি লাগছে তা আর দরকার নেই।’
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছাদেকুর রহমান জানান, ‘একজনের পক্ষে সব কি দেখা সম্ভব হয়? তবে মেয়র ও কাউন্সিলরের সঙ্গে কথা বলে তালিকাগুলো নিয়ে যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। এজন্য সময়ের প্রয়োজন।’
/এনআই/বিএল/