মৎস্যজীবীদের উদারতা

জলমহালব্যবসায়িক মনোভাব পরিহার করে মাছ চাষ না করে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য জলমহল (দোহা) উন্মুক্ত করে দিলেন মাগুরার গাংনালিয়া মৎস্যজীবী সমিতি। ব্যবসায়ীকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য মৎসজীবীরা দোহাটি লিজ নিয়েছিলেন। তবে পাট জাগ দেওয়ায় মাছ মরে যাওয়ায় লোকসান হয়েছে মৎস্যজীবীদের।

মৎস্যজীবী সমিতির সদস্যরা মনে করেন, মুষ্টিমেয় কয়েকজনের মানুষের স্বার্থ রক্ষা করতে গেলে এলাকা শতশত কৃষকের স্বার্থ বিঘ্নিত হতো। যে কারণে নিজেদের আর্থিক ক্ষতি মেনে নিয়ে তারা বৃহত্তর স্বার্থে এ ধরনের ছাড় নিয়েছেন।

সমিতির সভাপতি গৌতম ঠাকুর জানান, তারা মাছ চাষের জন্য বাৎসরিক এক লাখ ৬২ হাজার টাকা হারে তিন বছরের জন্য ৮ একর জায়গার বাঁশকোঠা জলমহল বা দোহাটি ইজারা নিয়েছিলেন। যেখানে মাছ চাষের জন্য তারা রেনু পোনা ছেড়েছিলেন। কিন্তু বাঁশ কোঠাসহ আশপাশের গ্রামে কোনও উন্মুত জলাশয় না থাকায় এলাকার কৃষকরা চলতি মৌসুমে পাট জাগ দিতে পারছিলেন না। ফলে তারা দিশেহারা হয়ে পরেন। পরে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সহকারী সচিব অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখরের দৃষ্টিগোচর হয়। সাইফুজ্জামান শিখর বৃহত্তর স্বার্থে জলাশয়টি এলাকার কৃষকদের ব্যবহারের জন্য মৎসজীবীদের প্রতি আহ্বান জানান। মৎসজীবীরা এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে জলাশয়টি উন্মুত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, এখন এলাকার ৪/৫ গ্রামের কৃষক শতশত বিঘা জমির পাট কেটে জাগ দেওয়া শুরু করেছেন দোহাটিতে। যদিও পাট জাগ দেওয়ায় অর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন মৎস্যজীবীরা।

আরও পড়ুন: 

‘শান্তি-নিরাপত্তায় বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে’

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন শেখ রেহানা