যশোর কোতোয়ালি থানার এসআই মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘লাঞ্ছনার শিকার ভারতীয় ওই নারী থানায় মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন।’
তিনি জানান, রত্না চক্রবর্তীর বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার খাটুরা জামদানি গ্রামে। কিছুদিন আগে মানবাধিকার সংক্রান্ত কাজে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। শনিবার বাস টারমিনাল থেকে ইজিবাইকে ওঠার সময় চালক তাকে লক্ষ্য করে আজেবাজে মন্তব্য করেন। তিনি প্রতিবাদ করলে ওই ইজিবাইক চালক রুখে আসেন। সে সময় তিনি ওই ইজিবাইক চালকের জামার কলার চেপে ধরেন। তখন আশপাশের আরও চালক জড়ো হন এবং ওই ইজিবাইক চালক তাকে মারধর করেন।
বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রত্না চক্রবর্তী থানায় এসে মৌখিক অভিযোগ করেন।
অভিযোগ পেয়েই এসআই মোস্তাফিজুর ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন,‘টারমিনালে গিয়ে ওই ইজিবাইক চালককে খোঁজ করা হয়, কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। তার নাম সোহাগ বলে জানতে পেরেছি। এখন তাকে খোঁজা হচ্ছে।’
মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয়কৃষ্ণ মল্লিক বলেন,‘ঘটনাটি অত্যন্ত ঘৃণিত। একজন বিদেশি নাগরিককে চরম অসম্মান করা হয়েছে। তার ওপর তিনি নারী। রত্না ভারতীয় সরকারি পর্যায়ের মানবাধিকার কর্মী। তিনি বারাসাতের কিশলয় এলাকার সাবেক কাউন্সিলর। সেখানে তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। পুলিশের উচিত অপরাধীকে আটক করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।’