খুলনায় বখাটের উৎপাতে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা, গ্রেফতার ১

বখাটে শামীম হাসান শুভখুলনায় বখাটের উৎপাতে স্কুলছাত্রী শামছুর নাহার চাঁদনীর আত্মহত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাতে মাফিয়া বেগম (৪৫) নামে এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়।  

এর আগে গত ১৩ অক্টোবর রাতে স্থানীয় বখাটে শুভর অত্যাচারে আত্মহত্যা করে খুলনা করনেশন সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী চাঁদনী। এ ঘটনায়  চাঁদনীর বাবা রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে লবণচরা থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় বখাটে শুভ এবং তার বাবা শাহ আলমসহ পাঁচ জনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলো শামীম হাসান শুভ, তার বাবা শাহ আলম , মা জাকিয়া বেগম, শুভর বন্ধু বয়রা এলাকার হাসিব এবং সৌদি প্রবাসী কবির হোসেনের স্ত্রী মাফিয়া বেগম।

এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শামসুন নাহার চাঁদনীর বাবা সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট রবিউল ইসলাম হরিণটানা প্রাইমারি স্কুলের সামনে জায়গা কিনে বাড়ি তৈরি করে কয়েক বছর ধরে পরিবারসহ বসবাস করছেন। তাদের প্রতিবেশী স্যানেটারি মিস্ত্রী শাহ আলমের ছেলে শুভ এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত। সে পাইপ মিস্ত্রীর কাজ করে। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে চাঁদনীকে বখাটে শুভ দলবলসহ উত্ত্যক্ত করতো। এমনকি চাঁদনীর বাসায় গিয়ে তার বাবা-মার সামনেও উত্ত্যক্ত করার চেষ্টা করতো। সবশেষ গত শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিকালে বখাটে শুভ তার ৭/৮ জন সহযোগীকে নিয়ে চাঁদনীর বাসায় যায়। এ সময় চাঁদনীর বাবার সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শুভ চাঁদনীর বাবাকে মারধর করে এবং মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। রাত ৮টার দিকে শুভ ও স্থানীয় মাফিয়া বেগম  দলবলসহ আবারও চাঁদনীর বাসায় গিয়ে তাদের হুমকি দেয়।এ ঘটনার পর রাত ১০টার দিকে চাঁদনী ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে রাত ১টার দিকে চাঁদনীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, চাঁদনীর বাবা রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় বখাটে শুভ এবং তার বাবা শাহ আলমসহ ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। রাতেই হরিণটানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামি মাফিয়া বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুভ ও পরিবারের সদস্যরা ঘটনার পর থেকেই পলাতক। তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন:

যশোরে ভারতীয় নারী মানবাধিকার কর্মী লাঞ্ছিত