আমনের দাম বেশি, কৃষকের মুখে হাসি

আমনের ন্যায্যমূল্য পেয়ে খুশি কৃষকরাগত কয়েক বছর আমনের সঠিক দাম না পাওয়ায় হাসি ছিল না কৃষকের মুখে। উৎপাদন খরচ না ওঠায় নবান্নের আনন্দ ছিল না খুব বেশি। তবে এবার দাম বেশি থাকায় স্বস্তিতে মাগুরার কৃষকরা। কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দাম পেয়ে খুশি তারা।

মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছে, এ বছর জেলায় ৫৭ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ করা হয়। সর্বমোট আমন উৎপাদনের পরিমাণ এক লাখ ৬০ হাজার ১৮০ মেট্রিক টন।

সদর উপজেলার লক্ষীকান্দর এলাকার কৃষক সুশান্ত বিশ্বাস বলেন, ‘এ বছর আমি দুই বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছিলাম। গত বছর যেখানে আমন বিক্রি করেছি ৬৫০ টাকা মণ দরে এবার তা বিক্রি করেছি ১০০০ টাকা মণ।’

সদর উপজেলার কাটাখালী গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘তিন বিঘা জমিতে আমন চাষ করে গত বছর ৩৫ হাজার টাকায় ধান বিক্রি করেছি। এ বছর একই পরিমাণ জমিতে চাষ করে ইতোমধ্যে ৫০ হাজার টাকার ধান বিক্রি করেছি, আরও ধান রয়েছে।’আমন ধান

শ্রীপুর উপজেলার নাকোল গ্রামের কৃষক আজাদ মিয়া বলেন, ‘এবার আবহাওয়া, সারের প্রাপ্যতা সবই অনুকূলে ছিল। এছাড়াও গত কয়েক বছর অব্যাহত লোকসানের কারণে অনেক কৃষকই এবার আমন রোপণ করেনি। এসব কারণেই হয়তো কৃষক এবার ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে। আমরা কৃষকরা সত্যিই খুব খুশি।’

শহরের সাজিয়ারা এলাকার মিলার সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু এবার আমনের দাম বেশি, সরকারেরও উচিত হবে আমন সংগ্রহ অভিযানে সেভাবেই মূল্য নির্ধারণ করা। নইলে মিলার, কৃষক সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তা গোবিন্দ্র দাস বলেন, ‘আবহাওয়া এবার অনুকূল ছিল। এছাড়া সারের সরবরাহও ভালো ছিল। সব মিলে এবার উৎপাদন ভালো হয়েছে। কৃষক মূল্যও পাচ্ছে ভালো। সব মিলে কৃষকের মুখে হাসি দেখা যাচ্ছে এটাই বড় কথা।’

আরও পড়ুন- লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান উৎপাদনের আশা